উত্তেজনার মধ্যেই প্রতিরক্ষা সম্পর্কে আশ্বস্ত করলেন ট্রাম্প-সৌদি বাদশাহ

সৌদি আরবের তেল উৎপাদন নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার ফোনালাপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি বাদশাহ সালমান। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ফোনালাপে উভয় নেতা যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরবের দৃঢ় প্রতিরক্ষা সম্পর্কের বিষয়ে পুনরায় আশ্বস্ত করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

10be0343cc62e2034b70e397cf8b4001

ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী দুটি প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি  সৌদি আরব থেকে প্রত্যাহারের খবর প্রকাশের পর এই দুই নেতার ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হলো।

গত মাসে সৌদি আরবের তেল উৎপাদন কমানোর জন্য চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। করোনা মহামারির শুরুতে সৌদি আরব তেল উৎপাদন বাড়িয়ে দিলে তা মার্কিন তেল উৎপাদকদের জন্য বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করে।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জুড ডিরি বলেন, উভয় নেতা বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারের স্থিতিশীলতার গুরুত্বের বিষয়ে একমত হয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরবের দৃঢ় প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের বিষয়ে পুনরায় আশ্বস্ত করেছেন। প্রেসিডেন্ট ও বাদশাহ সালমান গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় ইস্যু এবং জি২০ ও জি৭ এর নেতা হিসেবে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

অবশ্য বিবৃতিতে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের কথা উল্লেখ করা হয়নি এবং এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও নিশ্চিত করেছেন সৌদি আরব থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রত্যাহারের। তবে তিনি বলেছেন, এর অর্থ সৌদি আরব থেকে মার্কিন সহযোগিতা হ্রাস করা নয়, যার মাধ্যমে তেল ইস্যুতে রিয়াদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর অর্থ এই নয় যে, ওয়াশিংটন এখন আর ইরানকে হুমকি মনে করে না।

পম্পেও বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই এগুলো সেখানে আছে। ওই সেনাদের ফেরত আসা দরকার। এটা স্বাভাবিক সেনা রোটেশন।

ফোনালাপের বিষয়ে এক বিবৃতিতে সৌদি আরব জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে মিত্রদের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছেন ট্রাম্প। ইয়েমেন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে ওয়াশিংটনের সহযোগিতার কথাও পুনরায় তুলে ধরেছেন ট্রাম্প।