মার্কিন দূতের ‘শেষ মুহূর্তের’ তাইওয়ান সফর নিয়ে ক্ষুব্ধ চীন

যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ কূটনীতিকের আসন্ন তাইওয়ান সফর ঘিরে আবারও বাড়ছে চীন-মার্কিন উত্তেজনা। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত কেলি ক্রাফট বুধবার তিন দিনের সফরে তাইপে পৌঁছাবেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে তার এই সফর নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে চীন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

স্বশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে থাকে চীন। অঞ্চলটির সঙ্গে বিগত কয়েক দশক ধরেই যোগাযোগ সীমিত রাখে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তাইপের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেয়। এতে চীন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেও তাইওয়ান ওয়াশিংটনের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছে। আর এর জেরেই অঞ্চলটি সফরে আসছেন মার্কিন দূত।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে চীন-মার্কিন বিরোধ ক্রমাগত বেড়েছে। সম্পর্কের অবনতিতে বড় ইস্যু হিসেবে থেকেছে তাইওয়ান। চীনের কঠোর বিরোধিতা উপেক্ষা করে অঞ্চলটির কাছে অস্ত্র বিক্রি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সফরে পাঠিয়েছেন ট্রাম্প।

অতি সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে বিরত থাকার নীতির অবসান ঘটাবে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ঘোষণার পরই তিনি মার্কিন দূত কেলি ক্রাফটের তাইওয়ান সফরের ঘোষণা দেন।

কেলি ক্রাফটের সফর অনুষ্ঠিত হলে গত আগস্ট থেকে এনিয়ে তৃতীয় মার্কিন কর্মকর্তার তাইওয়ান সফর হবে। মাইক পম্পেও বলেন, উন্মুক্ত চীন যা অর্জন করতে তা তাইওয়ানে প্রতিফলিত হচ্ছে।