বাইডেনের অভিষেকে হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা কর্মীদের যাচাই বাছাই

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের নজিরবিহীন প্রাণঘাতী তাণ্ডবের সঙ্গে নিরাপত্তা সংস্থার কিছু সদস্যের সংশ্লিষ্টতার কথা সামনে আসার পর অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে। আর সেই কারণে অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য মোতায়েন করা ন্যাশনাল গার্ডের ২৫ হাজার সদস্যকে যাচাই করে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। কাতারভিথত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাইডেনের বিজয় অনুমোদনের দিনে গত ৬ জানুয়ারি  ট্রাম্প সমর্থকরা ওয়াশিংটন ডিসি-র ক্যাপিটল ভবনে তাণ্ডব চালায়। এতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচ জন নিহত হন। ট্রাম্পের কয়েকশ সমর্থকের হামলায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা।  কয়েক ঘণ্টার জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ক্যাপিটল ভবন। পরে লাঠিপেটা ও কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে এই ঘটনার সঙ্গে মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থার কিছু সদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রকাশ পায়।

ক্যাপিটল ভবনে প্রাণঘাতী ওই তাণ্ডবের পর আগামী বুধবার জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠান ঘিরে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হামলার পর থেকেই লকডাউন রয়েছে ওয়াশিংটন। কেবল অভিষেক অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্যই মোতায়েন করা হচ্ছে ২৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য। এখন তাদের সবার রেকর্ড যাচাই করেও দেখা হবে। রবিবার ন্যাশনাল গার্ড ব্যুরোর প্রধান জেনারেল ড্যানিয়েল হোকানসন বলেন, ‘সিক্রেট সার্ভিস এবং এফবিআই-এর সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে অনুমতি পাওয়া সব সদস্যদের যাচাই করে দেখা হচ্ছে।’ এসব সদস্যদের সঙ্গে কোনও উগ্রবাদী গোষ্ঠী সংশ্লিষ্টতা বা সমর্থনের কোনও ইতিহাস রয়েছে কিনা বা তাদের মাধ্যমে কোনও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরির আশঙ্কা আছে কিনা তা যাচাই করে দেখা হবে।

উল্লেখ্য, মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি’র অনুসন্ধানে দেখা গেছে গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের সময় ঘটনাস্থল কিংবা আশেপাশের এলাকায় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন সেনাবাহিনী এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অন্তত ২১ জন বর্তমান এবং সাবেক সদস্য। সেদিন নর্থ ক্যারোলিনা থেকে আসা একটি মিছিলের নেতৃত্ব দেওয়া এক কর্মকর্তার মানসিক স্থিতিশীলতা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। ক্যাপ্টেন এমিলি রাইনে দাবি করেছেন, তিনি সামরিক বিধি মেনেই মিছিলে অংশ নিয়েছেন। তারপরও তিনি পদত্যাগ করেন।