আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি কৃষিজমির মালিক বিল গেটস

বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব হারালেও বিল গেটস এখন নিজেকে ‘আমেরিকার কৃষিজমির রাজা’ দাবি করতেই পারেন! মাইক্রোসফটের এই সহ-প্রতিষ্ঠাতা এই ধনকুবের নীরবে কৃষিজমি কেনা চালিয়ে যাচ্ছেন। নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি কৃষিজমির মালিকানা অর্জন করে ফেলেছেন তিনি। মার্কিন সাময়িকী দ্য ল্যান্ড রিপোর্টের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ভূমি বিনিয়োগ সংক্রান্ত সাময়িকী দ্য ল্যান্ড রিপোর্ট যুক্তরাষ্ট্রে বড় বড় ভূমি মালিকদের তথ্য যোগাড় করে থাকে। তাদের সংগৃহীত সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে বিল গেটস ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯টি রাজ্যে দুই লাখ ৪২ হাজার একর কৃষি জমি এবং ২৭ হাজার একর অন্যান্য জমির মালিক হয়েছেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী বিল গেটস সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমির মালিক হয়েছেন লুইজিয়ানা এবং আরকানসাসে। লুইজিয়ানায় তিনি কিনেছেন ৬৯ হাজার ৭১ একর এবং আরকানসাসে ৪৭ হাজার ৯২৭ একর জমি। এছাড়া নিজের রাজ্য ওয়াশিংটনে কিনেছেন ১৬ হাজার একর। এর মধ্যে হর্স হেভেন পার্বত্য অঞ্চলে ১৪ হাজার পাঁচশ’ একর জমি তিনি কিনেছেন ১৭ কোটি দশ লাখ ডলারে।

ব্লুমবার্গের হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী বিল গেটস। তার মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ১৩ হাজার দুইশ’ কোটি ডলার। বিপুল সম্পদ দেখভালের জন্য তিনি গঠন করেছেন ক্যাসকেড ইনভেস্টমেন্ট নামে সিয়াটল ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। ল্যান্ড রিপোর্টের প্রতিবেদন বলছে, জমি কিনতে তিনি ক্যাসকেড ইনভেস্টমেন্টকে তিনি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয় ভাবেই ব্যবহার করেছেন।

তবে বিল গেটস কৃষিজমিতে হঠাৎ করে এই বিপুল বিনিয়োগ কেন করছেন বা এসব জমি এখন কিভাবে ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ক্যাসকেড ইনভেস্টমেন্ট নিজেদের টেকসই কৃষিকাজের সমর্থক বলে দাবি করলেও বিল গেটসের জমি কেনার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।

তবে বিল গেটস ও তার স্ত্রীর প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে কৃষি। ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে নিজেদের পরিচয় হিসেবে বলা হয়েছে, তাদের লক্ষ্য হলো সাব-সাহারা আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় কৃষি রুপান্তরে সহায়তা দেওয়া।   

উল্লেখ্য, আমেরিকায় সবচেয়ে কৃষিজমির মালিক হলেও বিল গেটস এখনও দেশটির সবচেয়ে ভূমির মালিক নন। যুক্তরাষ্ট্রে এই খেতাবের মালিত লিবার্টি মিডিয়ার চেয়ারম্যান জন মেলন। তিনি দেশটিতে প্রায় ২২ লাখ একর জমির মালিক।