যুক্তরাষ্ট্রে করোনার নতুন ঢেউয়ের শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

করোনাভাইরাসের অধিক সংক্রামক ব্রিটিশ ভ্যারিয়ান্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার আরেকটি নতুন ঢেউ শুরু হতে পারে। মঙ্গলবার এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

আগামী বসন্ত নাগাদ নতুন এ ঢেউ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণের সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, যত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা।

বি.১.১.৭ ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাসটির ফলে যুক্তরাজ্যে নতুন করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সিডিসি জানিয়েছে, এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি রাজ্যে এক হাজার ৮৮০ জনেরও বেশি মানুষের শরীরে করোনার এই ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত হয়েছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ট্রেভর বেডফোর্ড বলেছেন, শুধু সিক্যুয়েন্সিংয়ের মাধ্যমেই এই ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়েছে।

ট্রেভর বেডফোর্ড বলেন, বসন্তে সংক্রমণ  বাড়বে। এপ্রিল বা মে নাগাদ সংক্রমণ বাড়তে পারে। তবে আমি এখনও মনে করি যে, গ্রীষ্মে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং তখন খুব কমই ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটবে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এক পর্যায়ে উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে। এরইমধ্যে করোনার একাধিক টিকাও আবিষ্কৃত হয়েছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৮৮ লাখ ৯৭ হাজার ৭১৮। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৬ জনের।