মহাকাশে যাচ্ছে কাঠের স্যাটেলাইট

মহাশূন্যে টিকে থাকা কিন্তু যা-তা কথা নয়। নেই বাতাস, নেই তাপ ও বায়ুচাপ। স্পেসসুট ছাড়া কোনও মানুষ যদি মহাশূন্যে নেমে পড়ে, তো সবার আগে শরীরের ভেতরের বাতাসের চাপেই ফেটে যাবে ফুসফুসটা। বাতাস ও পানি প্রবল বেগে বেরিয়ে যেতে চাইবে শরীর থেকে। ফুলেফেঁপে উঠলেও চামড়ার কারণে শরীরটা বিস্ফোরিত হবে না ঠিকই, তবে অক্সিজেনের অভাবে পনের সেকেন্ডের মধ্যেই হারাতে হবে জ্ঞান। মিনিটখানেকের মধ্যে নিশ্চিত মৃত্যু। আর এ ভীষণরকম অবস্থায় কাঠের কোন দশা হয় সেটা দেখার আয়োজন করছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) ও দ্য ওয়াইসা উডস্যাট প্রজেক্ট। তাদের উদ্যোগে মহাকাশে কাঠের তৈরি ছোট্ট একটা স্যাটেলাইট পাঠানো হবে এ বছরেই।

মাত্র ৪ ইঞ্চি আকারের স্যাটেলাইটটি নিউ জিল্যান্ড থেকে রওনা দেওয়া ল্যাব ইলেকট্রন রকেটে করে যাবে মহাশূন্যে। শূন্যে ছেড়ে দেওয়ার পর ওটার ওপর নজর রাখবে একটি দল। মূল অভিযানটা পরিচালনা করছে কিউবস্যাট রেপ্লিকা নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে বার্চ গাছের প্লাইউড দিয়ে তৈরি স্যাটেলাইটটিতে যাবতীয় সেন্সর বসানোর দায়িত্ব নিয়েছে ইএসএ।

সেলফি তোলার জন্য স্যাটেলাইটটিতে একটি অ্যালুমিনিয়ামের দণ্ডও থাকছে। আর থাকবে ধাতব কিছু যন্ত্রাংশ।

মূলত মহাকাশে কাঠের স্থায়িত্ব পরীক্ষাই এ মিশনের উদ্দেশ্য। যদি মহাশূন্যে কাঠের বাকশোটি টিকে থাকতে পারে, তবে ভবিষ্যতের অভিযানগুলোতে অনেক যন্ত্রপাতির ওজন কমানো যাবে অনায়াসে।

 

সূত্র: সিনেট ডটকম