ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়া কেমন ছিল ৬ ঘণ্টা

বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও মেসেজিং সেবা হোয়াটসঅ্যাপ সোমবার প্রায় ছয় ঘণ্টা অচল থাকার কারণে বিশ্বজুড়ে প্রভাব পড়েছে। এক্ষেত্রে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম অচলের কারণে প্রভাব ছিল হোয়াটসঅ্যাপের চেয়ে কম। ফেসবুক অচল থাকায় অনেকেই টুইটারে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছেন অনেকে, চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি রোগীরা এবং সরকারও জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

লন্ডনভিত্তিক শিক্ষাবিদ আন্না ম্যাসিং হোয়াটসঅ্যাপ অচল হওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, মালয়েশিয়ায় ইনটেনসিভ কেয়ারে করোনার চিকিৎসা নিচ্ছেন আমার বাবা। বিদেশে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য আমি হোয়াটসঅ্যাপের ওপর নির্ভর করি। এমনকি লন্ডনে ফোন থেকে আন্তর্জাতিক কল বা বার্তা পাঠানোর সামর্থ্য আমার নেই। খুব চাপে ছিলাম।

যুক্তরাজ্যের ক্রিস ডোনেল নামের দাঁতের চিকিৎসক জানান, তার কাজ অনেকটাই হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগভিত্তিক। এটি অচল থাকায় অনেক কিছু করা সম্ভব হয়নি।  

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী ভারতে। দেশটিতে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপও বেশ জনপ্রিয়। এখানে ৪৯০ মিলিয়ন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী রয়েছেন। সোমবার এই প্ল্যাটফর্মে অনেক ভারতীয় ব্যবসায়ী পণ্য বিক্রি করতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেক মানুষ মোদি ও অন্যান্য পণ্য কিনতে পারেননি।  

ব্রাজিলে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন সরকারি কর্মকর্তারা। এমনকি দেশটির শিক্ষা ব্যবস্থাতেও এটি ব্যবহৃত হয়। যেমন- শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষার ফলাফল মেসেজ সেবার মাধ্যমে পেয়ে যান। এছাড়া চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পেতেও এই সেবার মাধ্যমে বুকিং দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।

রিও ডি জেনেইরোর চিকিৎসক মারসিতো বলেন, আমি একজন চিকিৎস এবং পরামর্শ দেওয়া শেষে ফলো-আপের জন্য এখন প্রধান উপায় হোয়াটসঅ্যাপ।  

দেশটির অন্যান্য ব্যবহারকারীরা ব্যাংক সেবা থেকে বিচ্ছিন্ন অথবা ফার্মেসি থেকে ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে জটিলতায় পড়ার কথা জানিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেক্সিকোর ব্যবসা-বাণিজ্য। এলিজাবেথ মুস্তিলো নামের ব্যক্তি ক্রেতাদের কাছ থেকে কল ও ক্ষুদেবার্তা আসা শুরু হওয়ায় অবাক প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন। তার মতে, এটি অবাক হওয়ার মতো। কেউ এখন আর কল করে না।