ইরানের পারমাণবিক চুক্তি: কূটনীতি ব্যর্থ হলে বিকল্প উপায় ব্যবহারে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্ররা সোমবার ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে আরেক দফা আলোচনা শুরু করবেন। তবে তারা নিশ্চিত নন যে, তেহরানের নতুন সরকার সমঝোতার পথে হাঁটবে। তারা আলোচনা নিয়ে কোনও উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করছেন না। তারা জোর দিচ্ছেন, যদি কূটনীতি ব্যর্থ হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র বিকল্প উপায় ব্যবহারে প্রস্তুতির বিষয়ে। মার্কিন সংবদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রায় ছয় মাস পর পুনরায় ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া চুক্তি স্বাক্ষরকারী অপর দেশগুলো আলোচনা যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকে তা এগিয়ে নিতে আগ্রহী। ইউরোপীয় সূত্র সিএনএন-কে জানিয়েছে, তারা ধারণা করছেন ইরান পক্ষ এটিকে প্রথম দফার বৈঠক হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তারাও এমন ধারণার কথা জানিয়েছেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি নির্বাচিত ইরানের কট্টরপন্থী সরকার ভিয়েনায় দরকষাকষির নতুন শর্ত হাজির করতে পারে। তেহরানের পক্ষ থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে জোর দেওয়া হচ্ছে, চুক্তি বাস্তবায়ন নয়। আলোচনার জন্য ইরানকে ছাড় দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেই।

এক সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা বারবার সতর্ক করে বলেছেন, ইরান যদি তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ এগিয়ে নেয় তাহলে চুক্তির পথে না হেঁটে বিকল্প উপায় ব্যবহারে বাধ্য হবে ওয়াশিংটন।

মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা সমন্বয়ক ব্রেট ম্যাকগার্ক বলেন, আমরা এখনও আশাবাদী কূটনীতি একটি উপায় বের করবে। কিন্তু যদি কোনও সমাধান না আসে তাহলে আমরা বিকল্প উপায় ব্যবহারে প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, ইরানকে পারমাণবিক তৈরির অনুমতি দেওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না। যখন আচরণ পরিবর্তনের জন্য সামরিক শক্তির কথা আসে তখন একটি বাহিনীর জন্য তা বেশ স্পষ্ট হয়।

সম্প্রতি ইরানবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত রব ম্যালি টুইটারে লিখেছেন, ইরানের সামনে দুটি পথ রয়েছে: পারমাণবিক উত্তেজনা ও সংকট অব্যাহত রাখা অথবা পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে যাওয়া। বেছে নেওয়ার জন্য সময় খুব কম।