ইউক্রেন সংকট: রুশ দাবি প্রত্যাখ্যান যুক্তরাষ্ট্রের

ইউক্রেনকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর রাখার যে দাবি রাশিয়া তুলেছে তা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।  রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন মস্কোর নিরাপত্তা দাবি প্রত্যাখ্যান করে দেন। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়াকে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সমাধান এগিয়ে দিয়েছেন আর সেটি মস্কোর মেনে নেওয়া উচিত।

ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো। তবে রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে পূর্ব ইউরোপে নিরাপত্তার গ্যারান্টি চায়। ইতোপূর্বে রাশিয়া পরিষ্কার করেই বলেছে যে, ইউক্রেনকে কখনোই সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মস্কো লিখিতভাবে চায়। এমনকি সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক এই প্রদেশে ন্যাটোর সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হবে না; এমন প্রতিশ্রুতিও চায় রাশিয়া।

রুশ দাবির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন ইউক্রেন ইস্যুতে কোনও ছাড় পাবে না মস্কো। কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় এই সংকট নিরসনের ওপরও তাগিদ দেন তিনি। রাশিয়ার এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখছেন। ন্যাটো জোটের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ওই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

ব্লিনকেন বলেছেন মার্কিন প্রতিক্রিয়ার মূল নীতি স্পষ্ট। এতে বলা হয়েছে ন্যাটো জোটসহ কোনও জোটের অংশ নেওয়ার অধিকারসহ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে মর্যাদা দেবেন তারা। তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিকতায় আমাদের গুরুত্ব দেওয়ার কোনও কমতি নেই আর আমরা একই মনোযোগ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি- ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আমরা রুশ আগ্রাসনের মুখে দ্রুত সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া নিয়েও কাজ করছি। কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবো সেটা রাশিয়ার ওপর নির্ভর করছে। আমরা যে কোনও উপায়ের জন্য প্রস্তুত।’

সূত্র: বিবিসি