‘বিষাক্ত’ শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের নিন্দা জানালেন বাইডেন

বর্ণবাদী ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানোর জন্য শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ, মিডিয়া, ইন্টারনেট এবং রাজনীতির নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিউ ইয়র্কের বাফেলোয় ১০ কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যার ঘটনায় শোক প্রকাশের সময় তিনি বলেন, ‘এখানে যা ঘটেছে তা সহজ এবং সোজা: সন্ত্রাসবাদ, সন্ত্রাসবাদ, অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ।’

বাফেলোর আফ্রিকান-আমেরিকান অধ্যুষিত এলাকায় সেমি অটোমেটিক অস্ত্র নিয়ে হামলা শুরুতে অভিযুক্ত হয়েছে ১৮ বছরের শ্বেতাঙ্গ তরুণ পাইটন জেন্ড্রন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে সে ‘বর্ণগতভাবে অনুপ্রাণিত সহিংস চরমপন্থার’ কাজ করেছে। শনিবার টপস ফ্রেন্ডলি মার্কেটে ১৩ জনের ওপর গুলি চালায় সে। ফার্স্ট-ডিগ্রি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে বিনা জামিনে কারাগারে রয়েছে সে। নিজের দোষ এখনও স্বীকার করেনি।

ওই ঘটনায় আক্রান্তদের পরিবারের সদস্য এবং সহায়তাকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ এক ধরনের বিষ। এটা বিষ- এটা সত্যি- আমাদের রাজনীতির শরীর জুড়ে তা বয়ে চলেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের যতটা সম্ভব স্পষ্ট এবং জোর দিয়ে বলা প্রয়োজন যে আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী মতাদর্শের কোনও স্থান নেই। কোথাও নেই।’

মার্কিন এটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড এবং বাইডেন প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারাও বলছেন, শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী সহিংসতা যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবিলা করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ২০২০ সালে এই সংক্রান্ত প্রচারণা রেকর্ড ছাড়ায় বলে জানিয়েছেন তারা।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন তারা অভিযুক্ত জেন্ড্রনের অনলাইন পোস্ট খতিয়ে দেখছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১৮০ পাতার এক ইশতেহার। তার লেখা এই ইশতেহারে ‘গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ ষড়যন্ত্র তত্ত্বের কথা বলা হয়েছে। এই তত্ত্বে বলা হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শ্বেতাঙ্গ মানুষদের জায়গায় অভিবাসনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য স্থানে সংখ্যালঘুদের আনা হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স