চাঁদে ভাড়ায় চলবে গাড়ি

জেনারেল মোটর্স ও লকহিড মার্টিন গত বছর ঘোষণা দিয়েছিল তারা যৌথভাবে একটি নতুন লুনার রোভার নির্মাণে কাজ শুরু করছে। যা মহাকাশচারী এবং তাদের সরঞ্জাম চাঁদে পরিবহনে কাজে লাগবে। এবার দুই কোম্পানি জানালো চাঁদে ভাড়া দেওয়ার মতো গাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স বিজনেস এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, কোম্পানি দুটি চাঁদের জন্য যানের একটি পুরো লাইন আপ গড়ে তুলবে। এগুলো মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ছাড়াও বাণিজ্যিক মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স ও ব্লু অরিজিনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভাড়া দেওয়া হবে।

কোম্পান দুটির আশা, চাঁদে একুশ শতকের প্রথম মানব মিশনের আগে তাদের লুনার মবিলিটি ভ্যাহিকেল প্রস্তুত হবে। এই মিশনটি ২০২৫ সালে রওনা দিতে পারে।

খবর অনুসারে, এই গাড়িগুলোর থাকবে স্বশাসিত ড্রাইভিং ক্ষমতা। এর প্ল্যাটফর্ম এমনভাবে তৈরি করা হবে যা চন্দ্র পৃষ্ঠে মানুষ বা তাদের সরঞ্জাম বহন করতে পারে।

জেনারেল মোর্টসের মুখপাত্র জানান, পরিকল্পনা হলো মিশনটির আগেই চাঁদে এই যানগুলো পাঠানো। এরপর চাঁদে যাওয়া সরকারি অভিযানে গাড়িগুলো ভাড়া দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য দেশকেও ভাড়া দেওয়া হবে। লুনার মোবিলিটি ভ্যাহিকেল সৌরশক্তি ব্যবহার রিচার্জ হবে, রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হওয়ার কারণে এগুলো দশ বছর সক্রিয় থাকবে।

গত সপ্তাহে জেনারেল মোটর্স এক ঘোষণায় বলেছে, চাঁদে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে গাড়ি বিক্রি করাতে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। বিভিন্ন দেশ ও মুনাফাকারী কোম্পানি মহাকাশ কর্মসূচিতে বিভিন্ন ধরনের স্পেস স্যুট ব্যবহার করে। এই কারণে সর্বজনীন নিয়ন্ত্রণ ও সংযত ব্যবস্থা প্রয়োজন।

সিএনএন জানিয়েছে, ১৯৬০-এর দশকে জেনারেল মোটর্স বোয়িংয়ের সঙ্গে লুনার রোভিং ভ্যাহিকেল নির্মাণ করে। এগুলোর মধ্যে ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে এলআরভি-১, এলআরভি-২, এলআরভি-৩ চন্দ্র পৃষ্ঠে চালানো হয়েছে। ওই সময় নাসার মহাকাশচারীরা এই রোভারগুলো নিজেদের সঙ্গে নিয়ে আসেননি। ফলে এগুলো এখনও চন্দ্র পৃষ্ঠে অলস অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি