রুশ হুমকি মোকাবিলায় ইউরোপে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব ইউরোপের পোল্যান্ডে একটি নতুন স্থায়ী সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে রুশ হুমকি মোকাবিলায় ইউরোপজুড়ে মার্কিন পদাতিক, বিমান ও নৌবাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হবে। বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।

মাদ্রিদে ন্যাটো সম্মেলনে বাইডেন ঘোষণা দিয়েছেন, স্পেনে নতুন যুদ্ধজাহাজ, ব্রিটেনে যুদ্ধবিমানের স্কোয়াড্রন, রোমানিয়ায় পদাতিক সেনা, জার্মানি ও ইতালিতে আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট এবং বাল্টিক অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হবে।

ন্যাটোর প্রতিশ্রুতি জোটের মিত্র দেশের ‘প্রতিটি ইঞ্চি ভূখণ্ড রক্ষার’ বিষয়টিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, একজনের ওপর হামলা মানে আমাদের সবার ওপর হামলা যখন বলি, তখন তা প্রকৃত অর্থেই আমরা বলি।

অতীতের নিরপেক্ষ অবস্থান বাদ দিয়ে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের ফলে জোট শক্তিশালী ও মিত্ররা আরও বেশি সুরক্ষিত হবে বলে উল্লেখ করেন বাইডেন।

তিনি বলেন, আমরা একটি নির্ভুল বার্তা দিচ্ছি, ন্যাটো শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ এবং এই সম্মেলনে আমরা যেসব পদক্ষেপ নেব তাতে আমাদের সমন্বিত শক্তি আরও বাড়বে।

এক সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, নতুন সামরিক মোতায়েন নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি যুক্তরাষ্ট্র এবং এমন যোগাযোগের কোনও প্রয়োজনীয়তা দেখছে না বাইডেন প্রশাসন।

নতুন কৌশল অনুসারে ইউরোপে অতিরিক্ত কত সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এই মার্কিন কর্মকর্তা। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর ইউরোপে অতিরিক্ত ২০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে মহাদেশটিতে মার্কিন সেনার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, পোল্যান্ডে নতুন সামরিক সদর দফতরে ফিল্ড সাপোর্ট ব্যাটালিয়ান থাকবে। যা হবে ন্যাটো পূর্ব শাখায় প্রথম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি।