কিশোরী সেজে বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন ২৯ বছরের তরুণী

বেশিরভাগ মানুষের কাছেই জীবনের অন্যতম সুন্দর সময় স্কুল জীবন। আবার যদি স্কুল জীবনে ফিরে যাওয়া যেত! অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে এমন কথা অনেকেই বলেন।

কিন্তু সত্যিই যদি কেউ ভুয়া নথি ব্যবহার করে বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে যান তাহলে তা চিন্তার বিষয়ই বৈকি! শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাও পড়তে পারে হুমকির মুখে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে এমন কাণ্ডই ঘটিয়েছেন ২৯ বছরের এক তরুণী।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভুয়া নথি ব্যবহার করে ভর্তি হন এই তরুণী। এই ভুয়া নথিতে তার বয়স ১৫ বছর দেখানো হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, গত সপ্তাহে ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৪ দিনেরও বেশি ক্লাস করেছেন তিনি।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফোন নম্বর যোগাড় করে ধরা পড়ার পরেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন ওই তরুণী। কর্তৃপক্ষ তাকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়।  জেলা কর্মকর্তাদের কাছেও ভুয়া জন্ম সনদ জমা দিয়েছিলো এই তরুণী। তবে তরুণীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।

নিউ জার্সির বিদ্যালয়গুলোতে অভিভাবক এবং সাধারণভাবে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা বাধ্যতামূলক। ভর্তির পরে পরিচয় সম্পর্কিত নথিপত্র জমা দেওয়ার জন্যও তাদের ত্রিশ দিন সময় দেওয়া হয়। এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই তরুণী।

মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে ভুয়া নথি জমা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার শাস্তি কী হবে তা সম্পর্কে এখনও কিছু জানায়নি কর্তৃপক্ষ। এই তরুণীর নাম হিয়েজিয়ং শিং। তিনি একটি ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক পাস। 

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করা হবে যাতে করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়ানো যায়। এই জেলায় প্রায় দশ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।

সূত্র: এপি