মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতায় ‘সুপার টিউসডে’ গুরুত্বপূর্ণ কেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাশীদের দলীয় প্রাথমিক বাছাইয়ের নাম ‘সুপার টিউসডে’। আগামীকাল ১ মার্চ মঙ্গলবার এ বাছাই অনুষ্ঠিত হবে। এদিন ১২টি অঙ্গরাজ্যে একযোগে ভোটাভুটি হবে। এর মধ্যে দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যই বেশি। কারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা পেতে যাচ্ছেন, ‘সুপার টিউসডে’তে সে সম্পর্কে বেশ খানিকটা ধারণা পাওয়া যায়। সে কারণেই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ।
এটাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অঙ্গরাজ্যে একযোগে প্রাথমিক বাছাইয়ের আয়োজন। এদিন নিজ নিজ দলের ডেলিগেট বা প্রতিনিধিরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেন। বিশাল এলাকার কারণে প্রার্থিতা প্রত্যাশীরা আঞ্চলিক নয়, বরং জাতীয় ভিত্তিতে প্রচার চালাতে বাধ্য হন। ১৯৮৮ সাল থেকে এ প্রথা চালু হয়।
মূলত 'সুপার টিউসডে'তে ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টি থেকে কোন কোন প্রার্থী চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন তার একটা সম্ভাব্য ধারণা পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে কালকের ভোটাভুটিতে দুই শিবির থেকে এগিয়ে থাকবেন হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার আলাবামা, আরকানসাস, জর্জিয়া, ম্যাসাচুসেটস, মিনেসোটা, ওকলাহোমা, টেনেসি, টেক্সাস, ভারমন্ট ও ভার্জিনিয়া- এই ১০টি রাজ্যে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রাথমিক বাছাই অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে শুধু রিপাবলিকানদের এবং কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে শুধু ডেমোক্র্যাটদের প্রাথমিক বাছাই হবে। এর পাশাপাশি সামোয়া দ্বীপেও ডেমোক্র্যাটদের প্রাথমিক বাছাই হবে।

এবারের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে প্রার্থীতার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। আর রিপাবলিকান পার্টি থেকে এগিয়ে আছেন ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প, টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ এবং ফ্লোরিডার সিনেটর মার্ক রুবিও।

১ ফেব্রুয়ারি আইওয়া ককাসের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া দলীয় মনোনয়নের দৌড় শেষ হবে ১৪ জুন ওয়াশিংটন ডিসিতে। তবে এ মুহূর্তে সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আগামীকালের ‘সুপার টিউসডে’।

‘সুপার টিউসডে’র আগে আগে গত বৃহস্পতিবার টেক্সাসের হিউস্টনে পাঁচজন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা প্রত্যাশী বিতর্কে অংশ নেন। বিতর্কে টেড ক্রুজ ও মার্কো রুবিও দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ট্রাম্পের অভিবাসন, স্বাস্থ্যবীমা, পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতি প্রসঙ্গে একের পর এক আক্রমণ চালান।

ট্রাম্পের বর্তমান ব্যবসায়িক অবস্থা প্রসঙ্গে রুবিও বলেন, ‘উত্তরাধিকারসূত্রে ২০ কোটি ডলার না পেলে ট্রাম্প আজ কোথায় থাকতেন, তা কি আপনারা জানেন?’ ট্রাম্পের অনলাইন শিক্ষা প্রকল্পের অধীন প্রতিষ্ঠিত ট্রাম্প ইউনিভার্সিটিকে ভুয়া ইউনিভার্সিটি আখ্যা দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, সেখানে হাজার হাজার ডলার নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। নিজের অবকাঠামো প্রকল্পে তিনি মার্কিন নাগরিকেদর বদলে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ দিয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা।

/এমপি/বিএ/