মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেট করা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাই ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। রবিবার (২২ জুন) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন হেগসেথ। শনিবার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা- ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে বোমা হামলা চালায় মার্কিন যুদ্ধবিমান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ‘শান্তি স্থাপনের’ আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করেন, না হলে ভবিষ্যতে ‘আরও ভয়াবহ’ হামলার মুখোমুখি হতে হবে।
এই হামলার জবাবে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে ‘চিরস্থায়ী পরিণতি’র এবং ট্রাম্পকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র জন্য অভিযুক্ত করেছে।
পিট হেগসেথের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, মার্কিন মিত্ররা এই হামলার বিষয়ে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন কি না।
উত্তরে হেগসেথ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক মিত্রদের চ্যালেঞ্জগুলো বোঝে।
তিনি বলেন, আমরা তাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এবং সহযোগিতার মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
পরে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যোগাযোগ নিয়ে এবং এখনও কূটনৈতিক সমাধানের সুযোগ আছে কি না — এমন প্রশ্নে হেগসেথ বলেন, ওয়াশিংটন একাধিকবার তেহরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা পরিষ্কার জানে, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী, শান্তির জন্য তাদের কী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, এবং আমি আশা করি তারা সেই পথেই এগোবে।’
যুক্তরাষ্ট্র হয়তো আবারও মধ্যপ্রাচ্যে ‘অসীম মেয়াদে যুদ্ধ’-এ জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রাক্তন সেনা
তাদের আশ্বস্ত করে হেগসেথ বলেন, এটি কোনোভাবেই অসীম মেয়াদিি নয়।
তিনি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে একটি ‘স্পষ্ট ও শক্তিশালী’ মিশনের দায়িত্ব দিয়েছেন — ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করা।
সাংবাদিকরা জানতে চান, হামলার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে হেগসেথ আরও স্পষ্ট করে বলবেন কিনা, এবং যদি ইরান বা তাদের প্রভাবাধীন মিলিশিয়া গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত হানে, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।
জবাবে হেগসেথ বলেন, ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন এখনও চলছে, তবে প্রাথমিকভাবে বলা যায় ‘আমাদের সব নিখুঁত মিসাইল টার্গেট অনুযায়ী আঘাত করেছে এবং প্রত্যাশিত প্রভাব ফেলেছে।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, তারা ফোর্দো স্থাপনা ইরানের সক্ষমতা ধ্বংস করতে পেরেছে — যা ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।