ট্রাম্পের ইরান হামলার আইনি বৈধতা নিয়ে বিতর্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ইরানের বিরুদ্ধে চালানো হামলাকে ‘চমকপ্রদ সামরিক সাফল্য’ হিসেবে প্রশংসা করছেন, তখন ডেমোক্র্যাটরা দ্রুতই তাঁকে কর্তৃত্বের সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।

শনিবার রাতে বহু সমালোচক ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। কারণ তিনি কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলা চালিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে সিনেটর ক্রিস্টোফার ভ্যান হোলেন জুনিয়র বলেন, ‘ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধ বন্ধ করবেন; এখন তিনিই আমেরিকাকে একটি যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলেছেন। তিনি যা করেছেন, তা স্পষ্টভাবে আমাদের সংবিধান লঙ্ঘন — যেখানে বলা হয়েছে, কেবল কংগ্রেসেরই যুদ্ধ ঘোষণার ক্ষমতা রয়েছে।’

হামলার আগে, উভয় প্রধান দলের আইনপ্রণেতারাই একটি পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করেন যাতে ট্রাম্পকে বাধ্য করা যায় কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়া কোনো হামলা না চালাতে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধ ঘোষণা বা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে সামরিক শক্তি ব্যবহারের অনুমোদন কেবল কংগ্রেসই দিতে পারে।

ট্রাম্পের ‘আমেরিকাকে আবারও মহান কর’ ঘরানার সমর্থকরাও জোরালোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলপন্থি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার বিরোধিতা করেছে। তারা বলছে, ট্রাম্প নির্বাচনে জিতেছিলেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে তিনি আর কোনো নতুন মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে জড়াবেন না। তারা চান, ট্রাম্প দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু, বিশেষ করে অর্থনীতির ওপর মনোযোগ দিন।

সূত্র: আল জাজিরা