নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলায় ইসরায়েলি প্রসিকিউটরদের তীব্র সমালোচনা ট্রাম্পের

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রসিকিউটরদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। শনিবার (২৮ জুন) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়ার পর এ ধরনের পরিস্থিতি মেনে নেবে না। ওই প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দুর্নীতির মামলার সঙ্গে জড়িত। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে ঘুষ, জালিয়াতি এবং আস্থাভঙ্গের অভিযোগে ইসরায়েলে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। মামলার শুনানি শুরু হয় ২০২০ সালে। এতে তিনটি ফৌজদারি মামলা অন্তর্ভুক্ত।

পোস্টে লিখেছেন, ‘নেতানিয়াহুর সঙ্গে যেটা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ পাগলামি। প্রসিকিউটররা যেন নিয়ন্ত্রণহীন। এটা নেতানিয়াহুর পক্ষে হামাস ও ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’

এটি ছিল কয়েক দিনের মধ্যে ট্রাম্পের দ্বিতীয় পোস্ট।  ট্রাম্প নেতানিয়াহুর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং মামলাটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলকে সুরক্ষা ও সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে, যেকোনও দেশের তুলনায় অনেক বেশি। আমরা এটা মেনে নেব না।’

নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সারার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে তারা বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের সিগার, গয়না, শ্যাম্পেনের মতো বিলাসবহুল উপহারসামগ্রী নিয়েছেন।

এছঅড়া আরও দুটি মামলায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইসরায়েলের দুটি সংবাদমাধ্যমে নিজের পক্ষে ভালো সংবাদপ্রচারের বিনিময়ে তিনি তাদের সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

ট্রাম্প বলেন, নেতানিয়াহু ‘এই মুহূর্তে’ হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তির আলোচনায় রয়েছেন। যদিও তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। শুক্রবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, একটি যুদ্ধবিরতি কাছাকাছি।

হামাস জানিয়েছে, তারা গাজায় অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি, যদি যুদ্ধের অবসানে কোনও চুক্তি হয়। অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, যুদ্ধের সমাপ্তি কেবল তখনই হবে যদি হামাস নিরস্ত্র ও ধ্বংস হয়। হামাস অবশ্য অস্ত্র ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিমান হামলার পর গাজা সংঘাত নিরসনের বিষয়ে আগ্রহ বেড়েছে। ইসরায়েল-ইরানের ১২ দিনের সংঘাতের পর এই সপ্তাহের শুরুতে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।