শনিবার (১৬ জুলাই) ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এ উপলক্ষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাস করা ছাত্রছাত্রীরা একত্রে মিলিত হন তাদের প্রিয় ঐতিহ্যবাহী ক্যাম্পাসে, পালন করেন ডিএমসি ডে ২০১৬।
মন্ত্রী বলেন, জনগণ কেন এই চিকিৎসাসেবা নিয়ে আস্থাহীনতায় ভুগছে এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। বাংলাদেশে বিশ্বমানের চিকিৎসক এবং উন্নতমানের হাসপাতাল থাকা সত্বেও মানুষ দেশের বাইরে যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য। আবার বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে দেশের বাইরে থেকে বিদেশিরা পড়তে এলেও কেন তারা চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসছে না সে প্রশ্নও করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালে ৫০০ শয্যা নিয়ে এই মেডিক্যাল কলেজ যাত্রা শুরু করে। পরে ১৯৭৩ সালে এর শয্যা সংখ্যা হয় ১০৫০টি। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ১০৫০ থেকে কমিয়ে শয্যা সংখ্যা ৮০০ তে আনা হয়। তবে পরবর্তী সময়ে শয্যা সংখ্যা ১৭০০ তে উন্নীত করা হলেও সে অনুপাতে অবকাঠামোগত ভৌত সুবিধা বাড়েনি। এরপর ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ৬০০ শয্যা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল- ২।
উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল তদানীন্তন বৃটিশ সরকারের কাছে ঢাকায় একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের জন্য প্রস্তাব পেশ করে। কিন্তু ২য় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলে প্রস্তাবটি হারিয়ে যায়। পরে ১৯৪৫ সালে বৃটিশ সরকার উপমহাদেশের ঢাকা, করাচি ও মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই) তিনটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। তখন ঢাকার তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. মেজর ডব্লিউ জে ভারজিনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করেই ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই ১৯৪৬ তারিখে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ চালু হয়। তাই প্রতিবছর ১০ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বা ডিএমসি ডে উদযাপিত হয়। কিন্তু এবার ঈদ উল ফিতরের ছুটির কারণে ১৬ জুলাইতে ডিএমসি ডে পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: তুরস্কে নিরাপদে বাংলাদেশিরা
/জেএ/এমও/