‘এম আর খানকে হারিয়ে বাংলাদেশ এক সম্পদ হারালো’

‘যারা আমাদের সমাজে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেন অথবা যারা সৃষ্টি করেছেন তারা আমাদের শূণ্য করে চলে যাচ্ছেন’, বলে মন্তব্য করেছেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আফজাল হোসেন। শুক্রবার রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ‘চাইল্ড হার্ট ট্রাস্ট বাংলাদেশ’ আয়োজিত জাতীয় অধ্যাপক এম আর খানের স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।

এম আর খানের স্মরণসভায় বক্তারাপ্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান মৃত্যুবরণ করেন। স্মরণসভায় অধ্যাপক এম আর খানের শিক্ষার্থীরা তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। তারা স্যারের দেখানো পথের কথা, নীতি এবং আদর্শের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এম আর খানকে হারিয়ে বাংলাদেশ এক সম্পদ হারালো।’

স্মরণসভায় আফজাল হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা কেবল এসব মানুষেরা মারা গেলে তাদের স্মরণ করি, কিন্তু তারা যা বলে যান, তারা যে নীতিবোধ আমাদের শিখিয়ে যান সেগুলো আমরা কতোটা ধারণ করি সেটাও ভাবার বিষয়।’

সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুসা খান জাতীয় অধ্যাপককে নিয়ে বলেন, ‘স্যার বলে গেছেন, তোমরা যে কাজগুলোকে আমাকে সম্পৃক্ত করেছো সে কাজগুলো আমার অনুপস্থিতিতে কখনো বন্ধ করো না। স্যারের এই নির্দেশ আমরা মেনে চলবো, তার দেখানো পথেই আমরা পথ চলবো।’

সেন্ট্রাল হাসপাতালের পরিচালক ডা. এম এ কাশেম বলেন, ‘১৯৭১ সাল থেকে তার সঙ্গে আমার পরিচয়, তিনি একাধারে চিকিৎসক, শিক্ষক এবং সমাজসেবক। তিনি একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।’

অপরদিকে, শহীদ সোহারাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান সৈয়দা আফরোজা বানু প্রয়াত এই জাতীয় অধ্যাপককে তার শিক্ষক, মেন্টর এবং রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘দেশের সকল শিশু চিকিৎসকদের রোল মডেল এম আর খান। নিয়ন্ত্রিত, শৃঙ্খলিত, পরিমিত আহারের বাইরে তিনি যেতেন না।’

স্মরণসভায় এম আর খানকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু হানিফ বলেন, ‘তিনি (এম আর খান) মানুষের উপকারের জন্য সারা জীবন কাজ করে গেছেন।’

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চাইল্ড হার্ট ট্রাস্ট বাংলাদেশের সহ সভাপতি ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. নুরুন নাহার ফাতেমা, বারডেম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা, হার্ট ফাউন্ডেশনের কার্ডিয়াক সার্জন ডা. শামসুজ্জামানসহ প্রমুখ।

/জেএ/এমও/