এবার ২ কোটিরও বেশি শিশু পাবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল

 

এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় ২ কোটিরও বেশি শিশু

আগামী ১০ ডিসেম্বর, শনিবার, দেশের ২ কোটি দশ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় চলবে টিকা খাওয়ানোর এ কর্মসূচি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান এ কর্মসূচি পালন করবে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ওই দিন ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোয় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। 

একইসঙ্গে শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোসহ অন্যান্য পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। দেশের শিশুদের রাতকানা রোগ থেকে বাঁচাতে সরকারের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ ক্যাপসুল ভরা পেটে খাওয়াতে হবে। শিশু কান্নাকাটি করলে ওই সময় এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এ কর্মসূচি পালন করতে দেশব্যাপী এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত আরও ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র খোলা হবে। সেখানে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট ব্রিজের টোল প্লাজা, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাটে স্থাপিত হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে তিনজন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে রাতকানায় আক্রান্ত শিশুর হার ১ শতাংশেরও নিচে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,  ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো বাবদ শিশুপ্রতি সরকারের ব্যয় হবে আট টাকা।

দুর্গম পার্বত্য এলাকায় এই ক্যাম্পেইন পরবর্তী চারদিন অর্থাৎ ১১-১৪ ডিসেম্বর বিশেষ ব্যবস্থায় পরিচালিত হবে।

/এসআই/এইচকে/