প্রতিদিন ১৪ জন মা প্রসবজনিত কারণে মারা যাচ্ছেন

নিরাপদ মাতৃত্বদেশে প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন মা প্রসবজনিত কারেণে মারা যান। বতর্মানে শতকরা ৪২ শতাংশ প্রসব দক্ষ দায়ের মাধ্যমে। অবশিষ্ট ৫৮ শতাংশ প্রসব অপ্রশিক্ষিতদের বাসা বাড়িতেই হচ্ছে। আর এসব কারণে চলমান চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচীতে (২০১৭-২২) মাতৃস্বাস্থ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যাটারনাল হেলথ কর্মসূচির উদ্যোগে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার (২৮ মে) নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসে শ্লোগান ‘নিরাপদ প্রসব চাই, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চল যাই’।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালগুলোর সঙ্গে ১৫৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সমন্বিত জরুরি প্রসূতি সেবা কার্যক্রম চলছে। এর পাশাপাশি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে সীমিত আকারে এ সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বেসরকারি পর্যায়েও মাতৃস্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। দেড় হাজার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিরাপদ প্রসব সেবা কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জরুরি প্রসূতি সেবার মান উন্নয়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় চিকিৎসকদের জরুরি প্রসূতি সেবা প্রশিক্ষণ চলমান আছে। হতদরিদ্র মায়েদের প্রসূতি সেবা নিশ্চিত করতে মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিম ৪১টি জেলার ৫৩ উপজেলায় চালু আছে। চলমান সেক্টর কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর ১০টি করে উপজেলা সম্প্রসারণ করা হবে। ফলে ২০২২ সালে এ সংখ্যা দাঁড়াবে মোট ১০৩টি উপজেলা

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, লাইন ডাইরেক্টর-ম্যাটারনাল, নিওন্যাটাল, চাইল্ড ও অ্যাডোলসেন্ট হেলথ (এমএনসিএন্ডএএইচ) ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

/জেএ/এসএমএ/