স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে সম্প্রতি সরকারের কঠোর নজরদারি বাড়ানোর ফলে তৃণমূল-পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার মান বেড়েছে। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় সাধারণ মানুষ হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পাবে না, তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এ জন্য যে চিকিৎসক বিনা অনুমতিতে হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকবেন, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে না পারলে বিভাগীয় পরিচালক, সিভিল সার্জন বা দায়ী হাসপাতাল সুপারভাইজারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘সরকার নতুন নতুন হাসপাতাল নির্মাণের পাশাপাশি পুরনো হাসপাতালের সংস্কার করছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকদের দায়িত্বে গাফিলতির কারণে সরকারের পদক্ষেপের সাফল্য জনগণ ভোগ করতে পারবে না, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’
এর আগে দেশের সব মেডিক্যাল কলেজকে বিভিন্ন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত করার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভায় প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান, রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মাসুম হাবিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয়, অধিদফতর ও দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক, সিভিল সার্জন ও সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।