২০২৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া মুক্ত হবে: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

‘থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ঝুঁকিপূর্ণ দম্পতির বিনামূল্যে গর্ভের ভ্রূণ পরীক্ষা এবং থ্যালাসেমিয়া রোগীর জাতীয় রেজিস্ট্রি কার্যক্রম গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ২০২৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া থাকবে না বলে কার্যক্রমের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।’ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে থ্যালাসেমিয়া সচেতন কার্যক্রম উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনএসময় থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে তরুণ সমাজকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বিবাহপূর্ব স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ দম্পতি নির্ণয় করে তাদের বিয়ে করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বুধবার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে দেশব্যাপী এসব কার্যক্রম চলবে। সকাল ১০টায় জাতীয় জাদুঘরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিম এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।’ থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ, এর যেহেতু স্থায়ী প্রতিষেধক নেই তাই একটি রূপরেখা প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরেরর মহাপরিচালক জানিয়েছেন, থ্যালাসেমিয়া বাংলাদেশে একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। দেশে এক কোটি ১০ লাখ মানুষ অজ্ঞাতসারে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। প্রতিবছর ৭ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম নেয়। বর্তমানে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬০ হাজার।