রফিক শিকদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার মা আর নেই। আপনারা আমাদেরর পাশে দাঁড়ান। যেহেতু মাকে হারিয়েছি, এখন আমার একটাই চাওয়া; আমি এই চিকিৎসকের বিচার চাই। আমার মা কত কষ্ট করে মারা গেছে, আপনারা জানেন। আমি বিচার চাই।’
উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর রওশন আরার বাম কিডনিতে অস্ত্রোপচার করেন বিএসএমএমইউ এর চিকিৎসকরা। এরপর তার শরীরের অবস্থা খারাপ হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। তখন সিটি স্ক্যানে ধরা পড়ে তার শরীরে কোনও কিডনিই নেই। সেই অবস্থা থেকে কিছুটা শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও পরে তার অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ দুটি কমিটি করে। একটি কমিটি আসলে কী ঘটেছে, তার তদন্ত করে। অন্য কমিটি হলো- মেডিক্যাল বোর্ড। তারা রোগীর চিকিৎসা করে। রওশন আরা’র সন্তানেরা মায়ের একটি কিডনি অস্ত্রোপচারের পর দুটি কিডনি কেন নেই, এই ব্যাপারে জানতে চান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসক তাদের সঙ্গে একটি লিখিত চুক্তি করে। সেখানে রোগীর কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের সম্পূর্ণ খরচ বহনের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রওশন আরা!