প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২৫ আগস্ট) পাবনার সুজানগরের মীজানুর রহমানের মেয়ে নূপুর আক্তারের এমআইসিএস (মিনিমালি ইনভাসিব কার্ডিয়াক সার্জারি) পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এ পদ্ধতিতে পুরো বুক ফাঁক না করে, পাঁজরের হাড় না কেটে মাত্র দুই ইঞ্চি ছিদ্র করা হয়। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে হওয়া এই এমআইসিএসের নেতৃত্ব দেন সহকারী অধ্যাপক ও আবাসিক সার্জন ডা. আশ্রাফুল হক সিয়াম।
এ সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো টিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গত ২৭ আগস্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক হাসপাতালে নূপুরকে দেখতে যান এবং তার সঙ্গে কথা বলেন।
আশ্রাফুল হক সিয়াম বাংলা ট্রিবিউনকে বলে, ‘আমরা ওকে আরও আগেই ছুটি দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ওর পরিবার আরও থাকতে চেয়েছে। এ কারণে নূপুরকে দুই দিন বেশি রাখা হয় হাসপাতালে।’ সিয়াম বলেন, ‘চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে নূপুরকে একটি লাল জামা উপহার দেওয়া হয়েছে, আর সে জামা পরেই হাসপাতাল ছেড়েছে নূপুর।’
যাওয়ার সময়ে শিশুটি কেমন ছিল জানতে চাইলে ডা. সিয়াম বলেন, ‘ভীষণভাবে উৎফুল্ল ছিল। না জানলে ওকে দেখে বোঝার কোনও সুযোগ নেই যে তার হার্টে অস্ত্রোপচার হয়েছে। সে সবার সঙ্গে কথা বলেছে, ছবি তুলেছে আমাদের সঙ্গে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী রবিবার তাকে আবার আসতে বলা হয়েছে। এরপর থেকে ফলোআপের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর পর আসতে বলা হবে।’ তবে তিন মাস পরে আর হাসপাতালে আসতে হবে না বলেও তিনি জানান।