‘করোনা ভাইরাস’ নিয়ে তথ্যকেন্দ্র করেছে আইইডিসিআর

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

‘করোনা ভাইরাস’ সর্ম্পকিত সব তথ্য সংগ্রহ, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছে জাতীয় রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা রবিবার ( ২৬ জানুয়ারি) হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আমরা প্রস্তুত তবে উদ্বিগ্ন নই। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (ইউএসসিডিসি) কে সঙ্গে নিয়েও একটি টিম করা হয়েছে। যারা প্রতিদিন সকালে পর্যবেক্ষণ করবে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপগুলো কী হবে। এর সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, যেহেতু চীনের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ফলে সেখান থেকে রোগী আসার সম্ভাবনা আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সেটা মাথায় রেখেই আমাদের প্রস্তুতি। প্রস্তুতিকে আরও জোরদার করার জন্য চলতি সপ্তাহ থেকেই আরও কাজ শুরু হবে ।

তিনি জানান, আপাতত চীন থেকে আসা সব ফ্লাইটের যাত্রীদের বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এই মুহূর্তে স্থলবন্দরগুলোকে সতর্ক রাখবো। আমরা সবকিছু সতর্কভাবে মনিটর করছি।তাতে যে কোনও মুহূর্তে যেকোনও কিছু করতে হলে আমরা তার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ নিয়েই যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেগুলো নিচ্ছি।

এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কাওকে পাওয়া যায়নি উল্লেখ্য করে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এ পর্যন্ত আইইডিসিআরে নয়জন তাদের অসুস্থতা সর্ম্পকে জানিয়েছেন। তাদের সবাইকে টেলিফোনে ভেরিফিকেশন করে দুজনের স্যাম্পল পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে তারা সিজনাল ফ্লুতে আক্রান্ত। আমরা এখন পর্যন্ত কোনও সাসপেক্টেড কেস পাইনি।

তিনি বলেন, চীন থেকে আসা প্রতিটি যাত্রীর টেলিফোন নাম্বার নিয়ে তাদের কল করে নিয়মিত সবকিছু জানা হবে। কারণ এই মুহূর্তে কারও জ্বর না থাকলেও আগামী ১৪ দিনের মধ্যে যদি এই লক্ষণ দেখা যায় তাহলে তাদের আইইডিসিআরের পরীক্ষার আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে আইইডিসিআরে স্যাম্পল কালেকশন এবং পরীক্ষাসহ অন্যান্য কাজের জন্য একটি কক্ষ তৈরি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, গতকাল রাত পর্যন্ত চীন থেকে আসা এক হাজার ৭৮৩ যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানারের মধ্যে দুটি মেশিন কাজ করছে। পাশাপাশি একটি হাতমেশিনও কাজ করা হচ্ছে। আজ (২৬ জানুয়ারি) আরও দুটি হাত মেশিন যোগ হবে।