প্রধানমন্ত্রী অফিস থেকে চাওয়া ব্যাখ্যার জবাব দিয়েছে ঢামেক কর্তৃপক্ষ

ঢামেকচিকিৎসকদের খাওয়ার বিল সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে যে সামারি চাওয়া হয়েছে, সেটি তৈরি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।

মঙ্গলবার (৩০ জনু) বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পুরো চিকিৎসায় কতজন চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী কাজ করছেন, কতজন কর্মকাণ্ডে ছিলেন; আমরা তার একটা সামারি তৈরি করে মন্ত্রী মহোদয় ও মহাপরিচালকের কাছে পাঠিয়েছি।’

প্রসঙ্গত, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় যারা সেবা দিচ্ছেন তাদের খাওয়ার বিল ২০ কোটি টাকা—এমন একটি খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

তিনি বলেন, 'যারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, মিথ্যা বলে তাদের অপদস্থ করা হলো। যারা এটি করলো তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটি আমরা দেখতে চাই। আমরা প্রমাণ দেবো, যদি ফল্টে থাকি, আমাদের ব্যাপারেও সরকার সিদ্ধান্ত নেবেন।'  যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমাদের সমগ্র চিকিৎসক সমাজ এবং বৃহৎ এই প্রতিষ্ঠানকে অপদস্থ করেছে, আমরা তার বিচার চাই।’

কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, 'আই ওয়ান্ট টু সি, হু ইজ দ্যাট গাই। প্লিজ, তাকে মিডিয়ার সামনে এনে বক্তব্য দেওয়ান। সেটি কাজে লাগবে।  আজকের এই ক্রান্তিলগ্নে যারা জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন, তাদের বিষয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন—এটা তাকে পরিষ্কার করতে হবে। প্রমাণ করতে না পারলে আমরা যে ইনসালটেড হলাম, সেটার বিচার করতে হবে।'

ঢামেক পরিচালক বলেন, 'আমি যেমন বক্তব্য দিচ্ছি, তাকেও সেটা করতে হবে। যদি সে প্রমাণ করতে পারে, আমরা কোনও ভুল বা অন্যায় করেছি। তাহলে তো কথা নেই। কিন্তু যদি সেটা প্রমাণ করতে না পারে, আমরা তাকে দেখতে চাই।'

তিনি আরও বলেন, 'যেসব হোটেল শুরুতে নিয়েছি, আমরা আস্তে আস্তে সেটেল হয়েছি। লো প্রাইসে যাচ্ছি, এক্সপেনসিভ থেকে সরে আসছি। চলমান প্রক্রিয়া এটা। যদি সুযোগ থাকে তাহলে হোটেল ত্যাগ করে ভবিষ্যতে কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানে যাওয়া হবে।'