স্বাস্থ্য সরঞ্জামের সরবরাহ ঠিক না রাখলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটবে

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনস্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতিবাজদের বিল বন্ধ করে দেওয়াটাই সমাধান নয়। দুর্নীতিবাজদের বিচার করাটাই মুখ্য বিষয়, স্বাস্থ্য সরঞ্জামের সরবরাহ ঠিক রাখাটা প্রয়োজন। তা না হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থ্যায় ব্যাঘাত ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব।

শুক্রবার (৩ জুলাই) ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড অ্যানভায়রনমেন্ট আয়োজিত করোনা পরিস্থিতি, স্বাস্থ্যসেবা ও জাতীয় বাজেট: বর্তমান প্রেক্ষাপট ও করণীয় শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম আবু সাঈদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কাজী রকিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক ডা. এইচ এম ফারুকী।

ঈদের পরে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সবার সচেতনতা ছাড়া এই মুহূর্তে কোনও বিকল্প নেই।’

অধ্যাপক ডা. নাজমুন নাহার বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে যতক্ষণ দুর্নীতি মুক্ত না করা যাবে ততদিন স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধি করে কোনও সুফল আসবে না। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সবার বিচার করতে হবে।’

অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম বলেন, ‘সবাইকে সরকারের গাইডলাইন মেনে চলা উচিত। এতে নিজের পরিবার এবং জনগণ সবাই এই মহামারীর হাত থেকে রক্ষা পাবে।’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, কোভিড-১৯ কে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা, বিনামূল্যে কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি সকল বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে রিকুইজিশন করে কোভিড ও নন-কোভিড চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবাকর্মী নিয়োগ, রেড জোনে কঠোর লকডাউন চালু রেখে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও চিকিৎসা নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা, ইজারাদারদের পকেট ভারি করার কোরবানীর হাট বসানোর সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যকে জনগণের ‘মৌলিক অধিকার’ হিসাবে সাংবিধানিক আইনি সুরক্ষা, সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক থেকে বিশেষায়িত সব চিকিৎসা বিনামূল্যে দেওয়া, সরকারি হাসপাতালে ইউজার ফি বাতিল এবং এই পর্যন্ত আদায়কৃত ইউজার ফি এর স্বচ্ছ হিসাব জনগণের সামনে প্রকাশ, উপজেলা পর্যায়ে সরকারি হাসপাতাল ১০০ থেকে ২৫০ শয্যা করার দাবি জানানো হয়।