‘চ্যালেঞ্জ রয়েছে’ বললেন স্বাস্থ্যের নতুন ডিজি

ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমস্বাস্থ্য অধিদফতরের সদ্য নিয়োগ পাওয়া মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে যাবো।’

শুক্রবার (২৪ জুলাই) তিনি মুঠোফোনে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখনও দায়িত্ব বুঝে নেইনি। দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর এ বিষয়ে সবার সঙ্গে কথা বলবো।’ বিস্তারিত কথা না বললেও কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান হিসেবে যোগদানের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সে দায়িত্ব পালন করতে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সেটাই করা উচিত।’

কোভিড-১৯-এর মতো পরিস্থিতি এবং যখন স্বাস্থ্য অধিদফতর নিয়ে নানা দুর্নীতি প্রকাশ্যে, তখন সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, এটা চ্যালেঞ্জ মনে করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ তো সব কাজই, এটাও অবশ্যই চ্যালেঞ্জের কাজ। তবে আমি সবার দোয়া চাই, সাহায্য চাই। আমি আশা করছি এসব বিষয় কাটিয়ে উঠতে পারবো। সবাইকে পাশে নিয়ে আমি সমস্যা মোকাবিলা করতে চাই। কারণ, মানুষই সব করে, তার সাধ্যের বাইরে কিছু নেই।’

সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘সবাইকে পাশে চাই। আমরা ভালো কাজটাই করতে চাইবো। আমরা চাইবো আমাদের সম্মান থাকুক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মান থাকুক। দেশের সম্মান থাকুক।’

প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নানা সমালোচনামূলক কাজের জন্য তীব্র আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন সাবেক স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। নতুন মহাপরিচালক কে হবেন তা নিয়ে তারপর থেকেই বিষয়টি ছিল টক অব দ্যা টাউন। বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম উচ্চারিত হতে থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন মহাপরিচালক হিসেবে ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম নিয়োগ পান। তার কয়েক ঘণ্টা আগে সদ্য পদত্যাগ করা ডা. আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর একই দিন বিকালে অধ্যাপক খুরশীদ আলমের নিয়োগ চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস)-এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।