সিনোফার্ম এবং স্পুটনিক-ভি ব্যবহার হতে পারে

চীনের সিনোফার্ম  এবং রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন কেনার জন্য সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তির উৎস ও সংগ্রহ সংক্রান্ত কোর কমিটি। সোমবার (২৬ এপ্রিল) কমিটি তাদের এ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।

প্রশাসন থেকে বলা হয়, সিনোফার্ম এবং স্পুটনিক-ভি কে আমরা শর্টলিষ্ট করেছি। ইতোমধ্যে সেটা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।

গত ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে ৮ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। যারা দেশে কোন ভ্যাকসিন আনা যায়, সে বিষয়ে মতামত দেবে।

এ কমিটির প্রধান ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল আজ।

এ কমিটি আজ সে সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তাতে চীনের সিনোফার্ম এবং স্পুটনিক-ভিকে রিকেমেন্ড করা হয়েছে, বলেন মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।

এর পরবর্তী ধাপ হিসেবে সরকারের এ সংক্রান্ত কমিটি দায়িত্ব পালন করবে।

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা কোভিশিল্ডের ৩ কোটি ডোজ টিকা বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।চুক্তি অনুযায়ী বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশে এই টিকা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে বাংলাদেশে সরবরাহ করবে। প্রতি মাসে সেরাম থেকে দেশে ৫০ লাখ ডোজ আসার কথা।

কিন্তু বাংলাদেশ সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টিকা পাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ভারত থেকে টিকা এসেছে মোট এক কেটি দুই লাখ ডোজ।

এরমধ্যে উপহার ভারত সরকারের উপহার হিসেবে প্রথম গত ২১ জানুয়ারি প্রথমে আসে ২০ লাখ ডোজ। সরকারের অর্থে কেনা টিকার প্রথম চালানে ২৫ জানুয়ারি আসে ৫০ লাখ ডোজ, সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ আসে ২০ লাখ ডোজ।

গত ২৬ মার্চে আসে ১২ লাখ ডোজ। অর্থাৎ,ভারত থেকে কেনা ও উপহার মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ।

দেশে গত সাত ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে টিকার দ্বিতীয় ডোজ। তবে গত ফেব্রুয়ারি মাসে চুক্তির ৩০ লাখ এবং মার্চ মাসের ৫০ লাখ অর্থ্যাৎ চুক্তির ৮০ লাখ টিকাই এখনও দেশে আসেনি। এপ্রিলের টিকা আসার সম্ভাবনাও এখন পর্যন্ত নেই।

ইতোমধ্যে ভারত টিকা রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াতে দেশে টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশে টিকার স্টক ফুরিয়ে যাবে।