সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন চান বিএসএমএমইউ ভিসি

সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনও উপজেলায় করোনার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫৯ শতাংশ এবং এটি সত্যিই বড় ধরণের উদ্বেগের বিষয় বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

আর এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট তথা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ যাতে দেশব্যাপী ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য জরুরি ভিত্তিতে দুই সপ্তাহের (১৪ দিন) জন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অবশ্যই কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

বুধবার (৯ জুন) এক জনসচেতনতামূলক কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে একথা বলেন।

অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য সকল জেলা ও শহরগুলোর সাথে পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলা উপজেলাগুলোতে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিতে হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার যোগান নিশ্চিত করতে হবে।

একইসঙ্গে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহার করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহার করলে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।