৫ দিনে করোনায় ১ হাজার মানুষের মৃত্যু

ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হয় গত ২১ জুলাই। ঈদের আগের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৩০ থেকে প্রায় ৪০ হাজার হলেও ঈদের ছুটিতে সেটা কমে আসে। আর নমুনা পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে রোগী শনাক্তের সংখ্যাও। কিন্তু থেমে ছিল না সংক্রমণ। কম নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্তের হার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। আর সেই সঙ্গে থেমে ছিল না মৃত্যুও। যদিও ঈদের দিন থেকে মৃত্যু কমে এসেছিল ২০০-এর নিচে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই ১৯৫ জনের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে গত দেড় বছরের মহামারিকালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সরকারি হিসেবে মৃত্যু ১৯ হাজার ছাড়লো।

অধিদফতর শনিবার (২৪ জুলাই) জানাচ্ছে, করোনাতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মোট মারা গেলেন ১৯ হাজার ৪৬ জন।

গত ১৯ জুলাই মহামারিকালে একদিনে সর্বোচ্চ ২৩১ জনের মৃত্যু দেখে বাংলাদেশ। তার মধ্যে দিয়ে করোনাতে মৃত্যু ১৮ হাজার ছাড়িয়ে যায়। সে হিসেবে ১৮ হাজার থেকে ১৯ হাজার মৃত্যু ছাড়াতে সময় নিলো মাত্র পাঁচদিন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২০ জুলাইতে মারা যান ২০০ জন, ২১ জুলাইতে ১৭৩ জন, ২২ জুলাইতে ১৮৭ জন, ২৩ জুলাইতে ১৬৬ জন আর আজ ২৪ জুলাইতে মারা গেছেন ১৯৫ জন। সে হিসেবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ এক হাজার মৃত্যু হয়েছে মাত্র পাঁচ দিনে।

গত বছরের ৮ মার্চে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। তার ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয় বলেও জানায় সরকারি এই সংস্থা। সে থেকে দেড় বছরের কিছু সময় পর এসে এই করোনা মহামারিতে দেশে সরকারি হিসেবে ১৯ হাজার মানুষের প্রাণ গেল।