৯ সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড ফাঁকা নেই

দেশে করোনা রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার কমলেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ থেকে এখনও অনেক দূরে বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনও দেশে যদি শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহ পাঁচ শতাংশের নিচে থাকে তাহলে সে দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ধরা হবে।

আর দেশে এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, রাজধানী ঢাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য চিকিৎসা দেওয়ার তালিকাভুক্ত ৯টি হাসপাতালেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউতে বেড ফাঁকা নেই।

অধিদফতর জানাচ্ছে, ঢাকায় ১৭টি সরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এরমধ্যে চারটি হাসপাতালে সাধারণ বেডে চিকিৎসা হলেও এসব রোগীর জন্য আইসিইউ বেড নেই। ওই চার হাসপাতাল হলো, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতাল এবং পঙ্গু হাসপাতাল।

অন্য হাসপাতালগুলোর মধ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০ বেড, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬ বেড, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ছয় বেড, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেড, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৫ বেড, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০ বেড, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫ বেড, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আট বেড ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বেডের সবগুলোতে রোগী আছে ।

অন্য হাসপাতালগুলোর মধ্যে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ২৬ বেডের মধ্যে একটি, টিবি হাসপাতালের চার বেডের মধ্যে একটি, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১০ বেডের মধ্যে তিনটি আর ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালের ২১২ বেডের মধ্যে ১৪টি আইসিইউ ফাঁকা রয়েছে।

অর্থাৎ, করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া রাজধানী ঢাকায় সরকারি ১৭টি হাসপাতালের ৩৮২টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে মাত্র ১৯টি বেড।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে টানা ১৮ দিন মৃতের সংখ্যা দুইশ’র ওপরে রয়েছে। গত ২৪ জুলাই ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে প্রতিদিনই দুই শতাধিক রোগী মারা গেছেন বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

আজকের (১১ আগস্ট) ২৩৭ জন নিয়ে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেলেন ২৩ হাজার ৩৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪২০ জন। এদের নিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪২ জন।