ঢাকা মেডিক্যালে কমেছে করোনা রোগীর চাপ

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ কমেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক। তাই বলে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা যাবে না বলে সতর্ক করেছেন তিনি। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সতর্কতার কথা জানান।

ঢামেক পরিচালক বলেন, ‘হাসপাতালে মাত্র এক মাস আগে যেখানে বেডের বাইরে রোগী ভর্তি দেওয়া হতো। সিট দিতে না পেরে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হতো। সেখানে এখন সহজেই ভর্তি হতে পারছেন। করোনা রোগীর চাপ কমেছে ঠিক, তবে মনে করা যাবে না যে, সব শেষ হয়ে গেছে। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা যাবে না।’

নাজমুল হক মনে করেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আবারও রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের আর কিছুই হবে না। এটা মনে করা যাবে না। টিকা নেওয়ার পরও অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই অবশ্যই প্রতিটি মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, ভ্যাকসিন নিতে হবে।’

হাসপাতালের রেকর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই মাসে ৭৫০ বেডের স্থানে করোনা ইউনিটে প্রতিনিয়ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৮০০ থেকে সাড়ে ৮০০ জন। সেখানে আগস্ট মাসে নেমে আসে ৬০০ থেকে সাড়ে ৬০০-তে। স্বাভাবিকভাবেই এখন ১০০ থেকে ১৫০ বেড ফাঁকা থাকছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ১১ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ১০ দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৭২ জন, ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৮৮৮ জন। ১১ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৯৬ জন। আর ভর্তির সংখ্যা ছিল ৫৪৭ জন।

হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আশরাফুল আলম বলেন, ‘ঢামেক হাসপাতালে গতবছরের ১১ মে থেকে এ বছর ২৪ আগস্ট পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৪১৪ জন মারা গেছেন। দৈনিক গড়ে দুই তিন জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ৩৬ জন।

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি’র বিকল্প কিছুই নেই। মহামারির এই সময়ে মাস্ক ব্যবহার করলে ধুলোবালি থেকে সংক্রমিত অন্যান্য রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এবং ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আমরা করোনা দুর্যোগ কাটিয়ে উঠবো ইনশাআল্লাহ।’