টিকা পরিচালনায় সরকারকে সহযোগিতা করছে ইউএসএআইডি

দেশে ফাইজারের টিকা দান কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এনজিও ইউএসএআইডি (ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট)। ইউএসএআইডি’র ‌‌‌‌মামনি মাতৃ ও নবজাতক উন্নয়ন প্রকল্প— ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টু কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিক’ এর মাধ্যমে ১১টি জেলা এবং ১০টি সিটি করপোরেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়েছে। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউএসএআইডি’র সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণগুলো বাংলাদেশের ১১টি জেলা—যথা: ভোলা, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, যশোর, সাতক্ষীরা, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ এবং ১০টি সিটি করপোরেশন—যথা: ঢাকা (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি), বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেটে ফাইজারের টিকা কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।

দেশের বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ের মাস্টার ট্রেইনার এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী, টিকা প্রদানকারী, নন-ক্লিনিকাল এবং প্রশাসনিক কর্মীদের জন্য আয়োজন করা হয় প্রশিক্ষণগুলো। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা জানতে পারেন কীভাবে আলট্রা-কোল্ড চেইন এর মাধ্যমে ফাইজারের টিকা সঠিকভাবে সংরক্ষণ, পরিবহন এবং প্রশাসন করা যায়। এছাড়া তারা প্রশিক্ষণ লাভ করেন টিকার স্টক পর্যবেক্ষণ, ডেটা এন্ট্রি ও রিপোর্টিং দক্ষতা এবং টিকাদানের পর প্রতিকূল ঘটনা পর্যবেক্ষণের ওপর।

ইউএসএআইডি স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতরের অধীনে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। এছাড়া প্রধান জাতীয় টিকাদান নির্দেশিকা ও প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল তৈরিতে এবং দেশে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করাতে ৬ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার এখন পর্যন্ত মডার্না এবং ফাইজারের টিকার ছয় দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ডোজ দান করেছে এবং মোট চার বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী ৫০০ মিলিয়ন ফাইজারের টিকা কেনার এবং অনুদান প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে আগামীতে ফাইজার কোভিড-১৯ টিকার আরও পাঁচ মিলিয়ন ডোজ প্রদান করবে।

বাংলাদেশ সরকারকে করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় ইউএসএআইডি সেভ দ্য চিলড্রেনের মাধ্যমে ইমার্জেন্সি রেসপন্স টু কোভিড-১৯ প্রকল্প পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে গত বছর থেকে বাংলাদেশি চিকিৎসক এবং চিকিৎসা সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য সম্মুখযোদ্ধাদের ক্লিনিক্যাল দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে চিকিৎসার জন্য উপযোগী করতে কাজ করছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি ও জাতীয় পর্যায়ে টিকা কার্যক্রমে বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।