নারী পুরুষ মৃত্যুর হার সমান

শুরু থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষের মৃত্যু বেশি হয়েছে। নারী মৃত্যু ছিল একেবারেই কম। কিন্তু গত আগস্ট মাস থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নারী মৃত্যু বেড়েছে। গতকাল ( ২৪ অক্টোবর) সপ্তাহের শেষ দিনে নারী মৃত্যু ছিল পুরুষের দ্বিগুণ। অধিদফতর গতকাল জানিয়েছিল মারা যাওয়া নয়জনের মধ্যে পুরুষ তিনজন আর নারী ছয়জন।

এদিকে সপ্তাহ ভিত্তিক বিশ্লেষণেও নারী মৃত্যু পুরুষের প্রায় সমান হয়ে এসেছে বলে দেখা যায়। অধিদফতর জানাচ্ছে, গত সপ্তাহে ( ১৮ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর) পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা ২৮ জন আর একজন গর্ভবতীসহ নারী মারা গেছেন ২৭ জন। শতকরা হিসেবে পুরুষ ৫০ দশমিক নয় শতাংশ আর নারী ৪৯ দশমিক এক শতাংশ।

গত ১২ আগস্টে দেশে করোনা মহামারিকালে প্রথম পুরুষ মৃত্যুকে ছাড়িয়ে যায় নারী মৃত্যু। সেদিনই প্রথমবারের মতো একদিনে পুরুষের চেয়ে নারীর মৃত্যু বেশি ছিল। সেদিন অধিদফতর জানায়, করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ২১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৭ জন আর নারী ১০৮ জন।

করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দেশে পুরুষের আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুহার বেশি ছিল। নারীর তুলনায় পুরুষ বাইরে যান বেশি, যার কারণে তারা আক্রান্ত হন বেশি। আর আক্রান্ত হলে মৃত্যুও বেশি হবে এতদিন জানিয়ে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা। যার কারণে নারীদের আক্রান্ত এবং তাদের মৃত্যুহার কম ছিল। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে নারী মৃত্যু বেড়ে যায়। আর এখন বর্তমানে দৈনিক মৃত্যুতে পুরুষের তুলনায় কোনও কোনোদিন নারী মৃত্যু বেশি হচ্ছে।

নারী মৃত্যুর জন্য বিশেষজ্ঞরা ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের কথা বলেছেন। সেইসঙ্গে টিকা গ্রহণে নারীর পিছিয়ে থাকাতেও কারণ হিসেবে বলছেন তারা। জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটি (ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ) নাইট্যাগ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ মনে করেন, টিকা গ্রহণে পিছিয়ে থাকার কারণে নারী মৃত্যু বাড়ছে। হরমোনাল কারণে নারীরা এতদিন সুরক্ষা পেলেও টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের এগিয়ে থাকার কারণে নারী মৃত্যু বাড়ছে।