কড়াইল বস্তিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে করোনা টিকা কর্মসূচি

দ্বিতীয় দিনের মতো করোনা টিকাদান কর্মসূচি চলছে রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তিতে। বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে টিকা কার্যক্রম।

গতকাল মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) উদ্বোধনের দিনই ৬ হাজার ৩২১ জনকে কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়া হয়েছে। বয়স ১৮ বছরের বেশি হলেই এখানে নেওয়া যাচ্ছে টিকা।

ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, স্বল্প সময়ের মধ্যে বস্তিবাসীকে টিকার আওতায় আনতে কড়াইল বস্তিতে এই কার্যক্রম চালু হয়েছে। ২৫টি কেন্দ্রে কার্যক্রম চলছে। বস্তির কমপক্ষে ৮০ শতাংশ মানুষের টিকা গ্রহণ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত টিকাদান চলবে।

২৫টি কেন্দ্রের একটি কড়াইল বস্তি উন্নয়ন কমিটির অফিস। বুধবার বেলা ১১টায় সেখানে সরেজমিনে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি হাতে নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে লোকজন। আইডি নম্বর দিয়ে টিকা নিচ্ছেন তারা। যাদের ভোটার আইডি কার্ড নেই তারা জন্মনিবন্ধনের ফটোকপি নিয়ে গেছেন। সহায়তা করছেন রেড ক্রিসেন্টের ঢাকা জেলার সদস্যরা।

টিকা নিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে কড়াইল বস্তির বাসিন্দা মাজেদা বেগম বলেন, করোনার টিকা কোথায় কীভাবে নিতে হয়, জানা ছিল না। এখন বাড়ির পাশেই টিকার ব্যবস্থা করেছে সরকার। ঝামেলা ছাড়াই টিকা পেয়েছি।

টিকা নিচ্ছেন কড়াইল বস্তির একজন বাসিন্দা

এই কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রমের সমন্বয় করছেন রেড ক্রিসেন্টের ঢাকা জেলা ইউনিটের সদস্য আসাদুল হাসান শিশির। তিনি জানান, গতকাল এই কেন্দ্র থেকে চার শতাধিক মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আজ (১৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দুই শতাধিক লোক টিকা নিয়েছেন। আশা করি বিকাল পর্যন্ত এ সংখ্যা পাঁচ শ’ ছাড়াবে। তিনি বলেন, শুধু ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে এলেই টিকা দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় ডোজের পর তারা সনদ পাবেন। শুধু জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে যারা টিকা নিচ্ছেন, তারা আপাতত সনদ পাবেন না।

এ টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় সমন্বয় করছেন রেড ক্রিসেন্টের ঢাকা বিভাগীয় উপপ্রধান মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে বস্তির ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে চাই। গতকাল থেকে আজ চাপ কিছুটা বেশি। মানুষ বেশি সাড়া দিলে টিকা প্রদানের সময়সীমা আরও বাড়ানো হবে।