দেশে আরও ১০ জনের ওমিক্রন শনাক্ত

দেশে আরও ১০ জন করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। তারা সবাই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি) এ তথ্য জানিয়েছে।

জিআইএসএআইডি জানায়, গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এরমধ্যে গত ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত দিনে পাঁচ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

তবে যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন, তাদের বিদেশ ভ্রমণের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, দেশে এ নিয়ে ২০ জন ওমিক্রন আক্রান্ত বলে শনাক্ত হলেন।

গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে করোনায় দৈনিক শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে দ্বিগুণের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে ঢাকায়। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া এক হাজার ১৪০ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা জেলায়। ঢাকা মহানগরসহ ঢাকা জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ৯৫০ জন, আর এ বিভাগে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৯৭৮ জন।

শতাংশের হিসাবে শুধু ঢাকা জেলাতেই শনাক্ত হয়েছেন ৮৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভ্যারিয়েন্টের ক্লাস্টার ট্রান্সমিশন (গুচ্ছ সংক্রমণ) হয়েছে ঢাকায়। ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে সময় নেবে না।

উল্লেখ্য, গত বছর করোনার শুরুতে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর-এর তৎকালীন পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছিলেন, ‘যদি কোথাও একই জায়গায় কম দূরত্বের মধ্যে একাধিক রোগী থাকে, তখন ওই জায়গাকে ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করে অনুসন্ধান করা হয়।’

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ( আইইডিসিআর)-এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকায় রোগী বাড়ার ঊর্ধ্বগতি কারণ হলো ওমিক্রনের প্রভাব। বাংলাদেশে এর শুরু, এতে সন্দেহ নেই। ওমিক্রনের ক্লাস্টার ট্রান্সমিশন হচ্ছে ঢাকায়।’