নতুন রোগী নেই ৪৬ জেলায়

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১৯৮ জন। গত আড়াই মাসের এ প্রথম একদিনের শনাক্ত নেমে এলো ২০০-এর নিচে। এর আগে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ১২২ জন শনাক্ত হবার কথা জানিয়েছিল অধিদফতর।

ডিসেম্বর থেকেই ধীরে ধীরে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। ২৭ ডিসেম্বর দৈনিক শনাক্ত তিনশ ছাড়িয়ে যায়।

অবশেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শনাক্ত নেমে আসতে শুরু করে হাজারের নিচে। তিনশর নিচে নেমে আসে শুক্রবার (১১ মার্চ)— ২৫৭ জন। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সেটা আরও কমে নেমে এলো ২০০-এর নিচে (১৯৮ জন)।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে তিন অঙ্কের রোগী শনাক্ত হয়েছে এক জেলায়— ঢাকা বিভাগের ঢাকা মহানগরসহ ঢাকা জেলায়— ১৩২ জন। দুই অঙ্কের শনাক্ত হয়েছে এক জেলায়, এক অঙ্কের ১৬ জেলায় আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি ৪৬ জেলায়। চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলায় শনাক্ত হয়েছে ১০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, বর্তমানে দেশ করোনার স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে রয়েছে। তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন জানিয়েছেন, করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া আর উপায় নেই। দীর্ঘদিন আমাদের এগুলো মেনে চলতে হবে।

এখনই মাস্ক খুলে ফেলার মতো সময় আসেনি জানিয়ে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, আমরা দেখেছি, ইতোমধ্যে অনেকেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা ভাবছেন, এর প্রভাব কমে গেছে। রোগী শনাক্ত এবং নমুনা পরীক্ষাও কমেছে। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না।

কিন্তু ভাইরাসের মিউটেশন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভাইরাসের এখনও বিবর্তন হতে পারে। নতুন ভ্যারিয়েন্টের শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ওমিক্রনের যেসব নতুন উপধরন রয়েছে সেসব চলে আসার আশঙ্কা থাকবে।

আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ যে গ্রুপগুলো আছে— ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন, ক্যানসারের রোগী ও যারা স্টেরয়েড পাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে ওমিক্রনও সিরিয়াস হতে পারে বলে জানালেন অধ্যাপক রোবেদ আমিন।