সরকারি হাসপাতালগুলোতে কেন্দ্রীয় নজরদারি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জেলা, উপজেলাসহ দেশের সব সরকারি হাসপাতালকে ক্রমান্বয়ে ডিজিটালাইজড করে নজরদারি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‌‘দেশের জেলা, উপজেলাসহ সব সরকারি হাসপাতাল সেন্ট্রালি সুপারভিশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ক্রমান্বয়ে সব হাসপাতাল ডিজিটালাইজড করতে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দ্রুতই হাসপাতালগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সেন্ট্রালি নজরদারিতে রেখে জনগণের সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।’

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রতিটি হাসপাতালেই এক্স-রে মেশিনসহ সব ধরনের যন্ত্রপাতি নিশ্চিত থাকার কথা। অথচ সরকারি হাসপাতালের পরিবর্তে অনেক ক্ষেত্রেই বাইরে থেকে পরীক্ষা করানো হয়। এতে সরকারি অর্থে কেনা মেশিনগুলো অকেজো হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে, দেশের সাধারণ মানুষ সরকারের বিনামূল্যে দেওয়া সেবা না পেয়ে অন্যত্র বেশি অর্থ ব্যয় করতে বাধ্য হয়। এটি আর চলতে দেওয়া যাবে না। দ্রুতই হাসপাতালগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সেন্ট্রালি নজরদারিতে রেখে জনগণের সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে।’

গত তিন বছরে দেশের হাসপাতালগুলোতে নতুন প্রায় ৮০০টি অ্যাম্বুলেন্স, ৪৫০টি জিপ গাড়ি দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘দেশের করোনা সংকটেও প্রায় ১০ হাজার চিকিৎসক, ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়াসহ প্রায় ১০০টি হাসপাতালে টেলিমেডিসিন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ৪-৫টি থেকে এখন ১৩০টিরও বেশি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া নিটোর হাসপাতালে ৫০০টি, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৫০০টি ও এনআইসিবিডি-তে প্রায় ৮০০টি নতুন বেড দেওয়া হয়েছে। ৮ বিভাগে ৮টি উন্নত হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে।’ এগুলোর কাজ স্বাস্থ্য খাতকে আরও গতিশীল করবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে ১০টি ক্যাটাগরিতে ৪৭টি পুরস্কার দেওয়া হয়। এরমধ্যে সেরা ১০টি উপজেলা হাসপাতাল, সেরা ৫টি জেলা হাসপাতাল, সেরা ৩টি মেডিক্যাল কলেজ ও সেরা ২টি বিশেষায়িত পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং সেরা ৮টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে।