ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিতরণ হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

সারাদেশে আজ সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টার ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার খোঁজ-খবর নেন। এসময় স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব সাইফুল ইসলাম বাদল, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক প্রফেসর এনায়েত হোসেনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অতিমারিকালীন আমরা একদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছি, অন্যদিকে প্রতি বছরই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর যাতে শিক্ষাজীবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য কাজ করেছি। আজকের পরীক্ষাটিও সুশৃঙ্খলভাবে নেওয়াসহ পরীক্ষায় কোনোরকম অনিয়ম যাতে না হয় সেজন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে এবছর প্রশ্নপত্র বিতরণ হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। আগামীতে পরীক্ষার মান আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে এখন থেকেই কাজ শুরু করা হয়েছে।’

পরীক্ষা সংক্রান্ত এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, ‘১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষার সাথে এসএসসি ও  এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত ২০০ নম্বরসহ মোট ৩০০ নম্বরের মাধ্যমে সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিক্যাল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের জন্য ৫৪৫ জন শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। এখানে ১২টি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিক্যাল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট সমূহে আসন সংখ্যা ১ হাজার ৪০৫টি সহ সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যালে মোট আসন সংখ্যা ১ হাজার ৯৫০টি। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি ও অ-উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত আসন বাদে জাতীয় মেধায় ৮০ শতাংশ ও জেলা কোটায় ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী সুযোগ পাবে। এবারের পরীক্ষায় মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৯০৭ জন। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই রয়েছে ৩১ হাজার ৩৫ জন। এবারের পরীক্ষায় মোট ২৬টি ভেন্যুর জন্য মোট হল সংখ্যা ৯২৯টি।’

উল্লেখ্য, এই পরীক্ষায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রতি আসনের বিপরীতে ১২১ জন করে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। আর মোট আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী রয়েছে ৩৩ দশমিক ৮ জন।