কলেরার টিকা নিলে ১৪ দিন অন্য টিকা নেওয়া যাবে না

ঢাকা মহানগরীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকার প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে কলেরার টিকা প্রদানের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২৬ জুন) এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা আইসিডিডিআরবির সহযোগিতায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, মুখে খাওয়ার কলেরার এই টিকা দুই ডোজ গ্রহণ করতে হবে। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর অন্তত ১৪ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্স কোম্পানি লিমিটেডের তৈরি ইউভিকল প্লাস নামের কলেরার দুই ডোজের টিকা এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদেরকে প্রদান করা হবে। এই টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। গর্ভবতী মহিলা এবং যারা বিগত ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনও টিকা গ্রহণ করেছে তারা ব্যতীত সবাই এই টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। এই টিকা নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে করোনার টিকাসহ অন্য কোনো টিকা নেওয়া যাবে না। এই টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ১৪ দিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে।

আগামী রবিবার (২৬ জুন) থেকে শনিবার (২ জুলাই) পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রথম ডোজ কলেরা টিকাদান কর্মসূচি চলবে। যাত্রাবাড়ীর প্রায় ৫ লাখ, সবুজবাগের প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার, দক্ষিণখানের প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার, মিরপুরের প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার এবং মোহাম্মদপুরের প্রায় ৪ লাখ অধিবাসীকে কলেরার টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে মাইকিং করা হচ্ছে। প্রায় ৭০০টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রতি এক হাজার বাড়ির জন্য একটি টিকা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ইপিআই কর্মসূচিতে ব্যবহৃত টিকাদান কেন্দ্র, সূর্যের হাসি ক্লিনিক রয়েছে।

আরও পড়ুন: কলেরার টিকা কার্যক্রম শুরু