জেনারেটরে চলছে হাসপাতাল

দেশের কয়েকটি বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে শুরু হয়েছে দুপুর থেকেই। জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। আর তাতে চাপ পড়েছে স্বাস্থ্যসেবায়। বিশেষ করে জরুরি সেবায় বিদ্যুৎ স্বাভাবিক রাখতে তেল দিয়ে জেনারেটর চালাচ্ছে হাসপাতালগুলো। সেবা চালু রাখতে গিয়ে দফায় দফায় কিনতে হচ্ছে জ্বালানি তেল। ঢাকার কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

দেশের হাসপাতালগুলোতে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় আইসিইউ, এনআইসিইউ, অপারেশন থিয়েটার ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে। তাছাড়া রোগীর অবাধ যাতায়াতের জন্য সচল রাখতে হয় লিফট। এসব কিছুই বিদ্যুৎনির্ভর। হাসপাতালগুলোতে কথা বলে জানা যায়, স্বাভাবিক লোডশেডিংয়ে জেনারেটর দিয়ে ঘণ্টাখানেক সাপোর্ট দেওয়া যায়, এক ঘণ্টা ব্যাক-আপে অন্তত ২০ লিটার তেলের প্রয়োজন হয়। কয়েক ঘণ্টার বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ইতোমধ্যে তেল আনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আবার জেনারেটর বেশিক্ষণ চালালে তাতে যান্ত্রিক সমস্যাও হতে পারে। 

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিদ্যুৎ না থাকলে তো সমস্যা। জেনারেটর দিয়ে কতক্ষণ সাপোর্ট দেওয়া যায়? বিদ্যুতের ওপর ইমার্জেন্সি সেবা, অপারেশন থিয়েটার অনেকাংশে নির্ভরশীল। জেনারেটর দিয়ে জরুরি এসব ব্যবস্থা চালু রাখা গেলেও অনেক ওয়ার্ডে সম্ভব হয় না। তেল দিয়ে চলে জেনারেটর, ইতোমধ্যে অনেকক্ষণ চালানো হয়েছে। এখন তেল নাই , তেল আনতে বললাম। তেল ঠিকমতো পেলে চালানো যাবে, নাহলে তো সমস্যা হয়ে যাবে। আমাদের ওটি, লিফট এগুলো সব এখন জেনারেটর দিয়েই চলছে।

পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তফা হোসেন চৌধুরী (লেলিন) বলেন, হাসপাতালে রোগীদের একটু তাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে রাখতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় লিফট অপারেশন থিয়েটার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। জেনারেটর ডিজেল দিয়ে কতক্ষণ চালাবো? তাই একটু ঝামেলা হচ্ছেই সেবা দিতে গিয়ে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের জেনারেটর সার্ভিস চলছে। সেটা দিয়ে আইসিইউ , অপারেশন থিয়েটার চালানো হচ্ছে। হয়তো ওয়ার্ডগুলোতে রোগীদের একটু সমস্যা হতে পারে। ইমার্জেন্সি জায়গাগুলোতে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হয়েছে।

পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানান, হাসপাতাল সেবায় তো সমস্যা হচ্ছেই। জেনারেটর টানা চলছে। এক ঘণ্টায় ৪০ লিটার তেলের প্রয়োজন হয়। ২০০ লিটার তেল কেনা হয়েছে আর হয়তো আধা ঘণ্টা পর তেল আনা লাগবে।