নিপসমের পরিচালক হলেন সেব্রিনা ফ্লোরা

জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ছিলেন। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের (পার-২ শাখা) সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আলমগীর কবীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডা. ফ্লোরা নিপসমের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজের স্থলাভিষিক্ত হবেন। তাকে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।   

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার/স্বাস্থ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে নিপসমের পরিচালক হিসেবে বদলি/পদায়ন করা হলো।

রোগতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ডা. সেব্রিনা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। তিনি জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) থেকে রোগতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। সেখানে পরে তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিন বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) সহকারী পরিচালক হিসেবে। পরে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। তিনি ফাউন্ডেশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের ফেলো।

অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ২০১৬ সালে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মহামারি সৃষ্টিকারী ভাইরাস ও রোগ বিস্তার প্রতিরোধে বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেন ও গবেষণা করেন।

তার নেতৃত্বে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জিকা ভাইরাস, মধ্যপ্রাচ্যের শ্বাসযন্ত্রের সিন্ড্রোম সম্পর্কিত ভাইরাস এবং ২০১৯-২০ সালে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তার দল ২০১৭ সালে বাংলাদেশে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কাজ করে। গত বছরের শেষে চীনের উহানে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে দেশেও আইইডিসিআর করোনা নিয়ে কাজ শুরু করে। ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) হিসেবে নিয়োগ পান।

ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা গত বছর আগস্টে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে সিঙ্গাপুরে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা চলাকালে দীর্ঘদিন তাকে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের সাপোর্টে রাখা হয়। ডিসেম্বরের শেষে তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন।