ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‌‘ইদানীং বাংলাদেশে তরুণীদের স্তন ক্যানসার বেশি ধরা পড়ছে। ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীরা জরায়ু ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের স্ক্রিনিং করার জন্য একটি সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। রক্তের ক্যানসার রোগীদের সেবার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগও কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজর রয়েছে। তিনি আটটি বিভাগে আটটি ক্যানসার হাসপাতাল করছেন। ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি। সচেতন হলে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়লে তা নিরাময়যোগ্য।’

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগে ক্যানসারের চিকিৎসায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ব্যাকিথেরাপি ‘থ্রি-ডাইমেনশনাল কনফরমাল থেরাপি (থ্রিডিসিআরটি)’ মেশিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে ১৫ লাখ ক্যানসারের রোগী রয়েছে। প্রতিবছর আরও দুই লাখ ক্যানসার রোগী বাড়ছে। প্রতিবছর ১ লাখ ৫০ হাজার ক্যানসারের রোগী মারা যায়। এসব রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে দেশের অনেক অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়েই বেশি সংখ্যক ক্যানসার রোগীর চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। ক্যানসার চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোগীর কোথায় ক্যানসার অবস্থিত তা নির্ণয় করে টার্গেট থেরাপি দেওয়া হবে এই ব্যাকিথোরপি (থ্রিডিসিআরটি) মেশিন  দিয়ে। এখানে লিনিয়্যাক মেশিনের মাধ্যমেও ক্যানসার চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেডিও থেরাপি ও কেমোথেরাপির মাধ্যমেও চিকিৎসাসেবা চলছে।

এর আগে বিশ্ব ক্যানসার দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ‘ক্লোজ দ্য কেয়ার গ্যাপ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লক থেকে শুরু হয়ে  বটতলা, এ-ব্লক, টিএসসি, ডি-ব্লক, সি-ব্লক প্রদক্ষিণ করে জামে মসজিদ হয়ে ক্যানসার ভবনে গিয়ে শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আলম, অধ্যাপক ডা. আব্দুল বারী, অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান ভূইয়া, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জে. ডা. রেজাউর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক (সার্জিক্যাল অনকোলজি) ডা. মো. রাসেল, ক্লিনিক্যাল অনকোলজির সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাদিয়া শারমিন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মামুন অর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।