জন্মবিরতিকরণ সামগ্রীর ব্যবহার বেড়েছে

জন্মবিরতিকরণ সামগ্রী ব্যবহারের হার বিগত সময়ের চেয়ে ২ শতাংশ বেড়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের হার ৩ শতাংশ বেড়ে ৫৫ শতাংশ হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে (বিডিএইচএস) ২০২২-এর প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য দেওয়া হয়।

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট) সভাটির আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান।

জরিপ বলছে, ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, নারীপ্রতি সন্তানের সংখ্যা ২ দশমিক ৩ জন। কিশোরী বয়সেই সন্তান জন্ম দেওয়ার হার বিগত বছরগুলোর তুলনায় কমেছে। ২০১৭ সালে এই হার ছিল ২৮ শতাংশ। ২০২২ সালে এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ শতাংশে। অল্প বয়সে বিয়ের হার ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ২০ থেকে ২৪ বছরের নারীদের মধ্যে ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হওয়ার হার ২০১১ সালে ছিল ৬৫ শতাংশ, ২০১৭ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৫৯ শতাংশে এবং ২০২২ সালে তা ৫০ শতাংশে নেমে আসে।

বিডিএইচএস বলছে, ২০২২ সালে মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি লক্ষ করা গেছে। ৯৯ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ-সংযোগ হয়েছে। ৯৮ শতাংশ ঘরে কারও না কারও মোবাইল ফোন আছে। ৬০ শতাংশ বাড়িতে উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা আছে, যা ২০১৭ সালে ছিল ৪৩ শতাংশ।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু (এনডিসি), ইউএসএআই ডির বাংলাদেশের পরিচালক (পপুলেশন, হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন) ক্যারি রাসমুসেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম।