তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতি বছর দেশে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে মন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করে ‘নারী মৈত্রী’র একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় স্বাস্থ্য সামনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের গুরুত্ব এবং দাবিগুলো তুলে ধরেন সংগঠনের সদস্যরা। পরে মন্ত্রী এ আইন শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দেন।

নারী মৈত্রীর দাবিগুলোর মধ্যে আছে– সব ধরনের পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও গণপরিবহণে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা ও মোড়কবিহিন বিক্রি নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট ও হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি ও প্লেন প্যাকেজিংসহ তামাকজাত দ্রব্য মোড়কজাত করার ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম প্রণয়ন করা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি জানান, পাবলিক প্লেসে ধূমপানের কারণে অধূমপায়ীরা স্বাস্থ্যগত ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এর ভুক্তভোগী। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস, গর্ভপাত এবং সন্তান জন্মদানে মা ও শিশুর মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কর্মক্ষেত্র, রেস্তোরাঁসহ সব পাবলিক পরিবহনকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা গেলে সেখানে আগত অধূমপায়ীদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কমবে, শ্বাসতন্ত্র ভালো থাকবে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পাবে। নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে সচেতন হওয়ার সময়  এখনই।

তামাক নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের কার্যক্রমে নারী মৈত্রীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তামাক অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্রতি দিন ৪৪২ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন তামাকজনিত রোগে। এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে শুধু অবগত হলেই চলবে না, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেওয়াও জরুরি।’