দুই ব্লাড ব্যাংকসহ ৬ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অভিযানে ঢাকায় দুটি ব্লাড ব্যাংকসহ ছয়টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সসহ নানা অসঙ্গতির পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয় অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে একথা জানায় অধিদফতর। এ সংক্রান্ত চিঠি আগামীকাল বুধবার ইস্যু করা হবেও বলে জানা যায়।

বন্ধ করা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে— মোহাম্মদপুর কলেজগেট এলাকার মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের রেডিয়াম ব্লাড ব্যাংক, রাজধানী ব্লাড ব্যাংক এবং টিজি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এছাড়া রাজধানীর মিরপুরের ইসিবি চত্বর এলাকার আল হাকিম চক্ষু হাসপাতাল, কালশী এলাকার এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এএইচএস ডায়ালাইসিস ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এছাড়া অভিযানের পর আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এর মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স হালনাগাদ করা ছিল না, দুটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স থাকলেও কার্যক্রম সন্তোষজনক নয় এবং বাকিগুলোর লাইসেন্স ছিল না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডা সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করতে গিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা আয়ান আহমেদের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই একই ঘটনা ঘটেছে মালিবাগের জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিক্যাল চেকআপ সেন্টারে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে আয়হামের খতনা করা হয় জেএস ডায়াগনস্টিকে। পরিবারের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও ফুল অ্যানেস্থেসিয়া অর্থাৎ পুরোপুরি অজ্ঞান করা হয়েছিল শিশুটিকে। পরে আর তার জ্ঞান ফেরেনি। এ দুই ঘটনাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করেছে এবং জেএস ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দিয়েছে।

পরে অধিদফতর থেকে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনায় ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সময় কোনও গাফিলতি হলে, কারও মৃত্যু হলে সে বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি জানান, এ কাজে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে অভিযান শুরু হবে। সে হিসেবেই আজ থেকে এ অভিযান শুরু হয়।