অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: পবা

পবাখামারের মুরগি, মাছ ও গবাদি পশুর খাবারের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক মেশানো এবং চিকিৎসার নামে এর যথেচ্ছ ব্যবহারে মানুষ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। আর তাই বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন অপারেশনের ক্ষত শুকানো ও রোগ সারাতে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না। মানব স্বাস্থ্যের জন্য এটা বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) একটি সমীক্ষায় উদ্বেগজনক এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

মঙ্গলবার পবা কার্যালয়ে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: মহাদুর্যোগের পদধ্বনি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা এ তথ্য জানান।

আলোচনা সভায় পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রিভেনটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের করা সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫৫ দশমিক ৭০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর। এর অর্থ হচ্ছে, ঢাকা শহরে যে রোগজীবাণু দ্বারা সংক্রমণ ঘটে, তার বিরুদ্ধে এই ৫৫ দশমিক ৭০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক কোনও কাজ করে না। ফলে জীবনের শঙ্কা ও চিকিৎসাব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, এ অবস্থায় এক বা একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স রোগ জীবাণুর আর্বিভাব ঘটতে পারে। যার আক্রমণে মানব সভ্যতা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হতে পারে। জনস্বাস্থ্যে আসন্ন মহাদুর্যোগ রোধে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ‘পৃথিবীব্যাপী অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি রোগ জীবাণু সংবেদনশীলতা কমে আসার ঘটনা পরীক্ষাগারে প্রমাণিত হচ্ছে। সংক্রমিত রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে চিকিৎসকরা অসহায় বোধ করছেন। বিশেষ করে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউতে চিকিৎসা গ্রহণকারী রোগীর ইনফেকশন চিকিৎসায় প্রচলিত সব অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট বলে প্রতীয়মান হয়, তখন শেষ অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কারবাপেনাম নামের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। ঘটনাক্রমে এ ওষুধটিও রেজিস্ট্যান্ট হলে নিশ্চিত মৃত্যু ভিন্ন আর কোন পথ খোলা থাকে না।’

/জেএ/এজে/