ডেন্টাল এনাটমিতে যারা শিক্ষকতা করেন তাদের মধ্যে দুই জন দেশে প্রথম ডক্টর অব মেডিসিন (এমডি) পাস করেছেন। তারা হলেন, সাপ্পোরো ডেন্টাল কলেজের ডেন্টাল এনাটমি বিভাগের শিক্ষক ডা. মো. মুশফিকুর রহমান এবং ঢাকা ডেন্টাল কলেজের ডেন্টাল এনাটমি বিভাগের শিক্ষক ডা. খন্দকার ইমানুজ্জামান ইমন। তারা দুজনই বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক বিএসএমএমইউ) থেকে ডেন্টাল এনাটমি বিষয়ে প্রথম এমডি ব্যাচের গ্র্যাজুয়েট। বুধবার (১৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এই দুই শিক্ষক তাদের অভিনব শিক্ষণ পদ্ধতি ও দূরদর্শী চিন্তাধারার মাধ্যমে ডেন্টাল এনাটমি শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন বলে জানানো হয়।
সাপ্পোরো ডেন্টাল কলেজের ডা. মুশফিকুর রহমান দাঁতের মরফোলজি ও ক্র্যানিওফেসিয়াল কাঠামো সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের গভীর উপলব্ধি তৈরিতে ত্রিমাত্রিক শরীরবৃত্তীয় মডেলিং, ডিজিটাল সিমুলেশনের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি একীভূতকরণের ওপর জোর দেন। তার ভিশন হলো তাত্ত্বিক জ্ঞানকে ক্লিনিকাল দক্ষতার সঙ্গে যুক্ত করে ভবিষ্যত ডেন্টিস্টদের বিশ্লেষণী ও ব্যবহারিক দক্ষতায় সমৃদ্ধ করা।
তিনি ওরাল হিস্টোলজি স্লাইড প্রস্তুতকরণ এবং ল্যাব-ভিত্তিক ডেন্টাল এনাটমি শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি নিজ হাতে তৈরি স্লাইডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দাঁতের টিস্যু ও কোষের গঠনবিন্যাস সরাসরি পর্যবেক্ষণে সহায়তা করছেন।
অপরদিকে, ঢাকা ডেন্টাল কলেজের ডা. ইমানুজ্জামান ইমন ডেন্টালের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে ডেন্টাল এনাটমির আন্তঃসম্পর্ক অন্বেষণে আন্তঃবিভাগীয় সহযোগিতাকে উৎসাহিত করেন। তার লক্ষ্য হচ্ছে, প্রমাণ-ভিত্তিক চর্চার মাধ্যমে জটিল মৌখিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ এক প্রজন্ম গড়ে তোলা।
বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ডেন্টাল এনাটমি সাবজেক্টে প্রথম এমডি গ্র্যাজুয়েট হিসেবে তাদের এই অর্জন দেশের দন্ত চিকিৎসা শিক্ষায় এক মাইলফলক বলে মনে করেন এই দুই চিকিৎসক। উদ্ভাবন, সুলভতা ও ক্লিনিকাল উৎকর্ষের ভিত্তিতে ডেন্টাল এনাটমি শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার তাদের এই যৌথ প্রত্যয় আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং বৈশ্বিক ডেন্টাল কমিউনিটিতে বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে বলেও ধারণা তাদের।